কিন্তু ৫ আগস্টের ঘটনার পর পুনরায় দখলদাররা ওই জমি নিজেদের দখলে নিয়ে স্টোন ক্রাশার মেইলগুলোর কাছে ভাড়া দেয়। বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন আবারো মাঠে নেমে জমি উদ্ধারে অভিযান শুরু করে এবং সর্বশেষ মাইকিংয়ের মাধ্যমে সময়সীমা ঘোষণা করে।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনঘাট এলাকায় দখল করা জমি থেকে ক্রাশার মেশিন সরিয়ে নেয়ার চূড়ান্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে প্রশাসন।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে তিন দিনের মধ্যে ক্রাশার মেশিন সরাতে বলা হয়েছিলো। পরে ওই দিন বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনায় বসে কোম্পানীগঞ্জ মিল মালিক সমিতি। আলোচনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিন মিয়া সময়সীমা বাড়িয়ে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন।
জানা যায়, ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর ঘাট এলাকায় প্রায় ৫০ একর জমি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ওই এলাকায় একটি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। তবে গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর দখলদাররা বুলডোজার দিয়ে সেই প্রাচীর ভেঙে ফেলে জমিটি পুনরায় দখল করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ সময় শুধু জমি দখলই নয়, ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটন এলাকা থেকে অবাধে সাদা পাথর ও বালু উত্তোলন চলতে থাকে। রোপওয়ে (বাংকার) এলাকা থেকেও একইভাবে পাথর তোলা হচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
ভোলাগঞ্জ-সাদা পাথর সড়কের দুই পাশে একসময় প্রায় এক হাজার ছোট-বড় ক্রাশার মেইল ছিল। ২০২৩ সালে ভোলাগঞ্জকে দেশের ২৫তম স্থলবন্দর ঘোষণা করা হয়। এরপর রাস্তার পশ্চিম পাশের দখল করা জমি উদ্ধার করে স্থলবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পে দেয়া হয়, যা বর্তমানে নির্মাণাধীন। পাশাপাশি, বাংলাদেশের ট্যুরিজম বোর্ডকে নদীর পূর্ব তীর থেকে গুচ্ছগ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৫০ একর জমি পর্যটন উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু ৫ আগস্টের ঘটনার পর পুনরায় দখলদাররা ওই জমি নিজেদের দখলে নিয়ে স্টোন ক্রাশার মেইলগুলোর কাছে ভাড়া দেয়। বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন আবারো মাঠে নেমে জমি উদ্ধারে অভিযান শুরু করে এবং সর্বশেষ মাইকিংয়ের মাধ্যমে সময়সীমা ঘোষণা করে।
জমি উদ্ধার প্রসঙ্গে ইউএনও রবিন মিয়া বলেন, আমরা আগামী ২২ তারিখ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করেছি। তবে জমিটি নিয়ে একটি মামলা চলমান রয়েছে। ২২ তারিখের আগে মামলার শুনানি আছে। রায় অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।