রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

মৌলভীবাজারে ডিসির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সচেতন নাগরিক সমাজের মানববন্ধন

মৌলভীবাজারে ফ্যাসিস্টের দোসর কর্তৃক অপপ্রচারের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রকাশিত মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ। সম্প্রতি “ডিসির ক্ষমতার দাপট, অতিষ্ট মৌলভীবাজারের জনগণ” শিরোনামে একটি ভুয়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর। এই ধরনের “রেডি নিউজ” ও গুজবপ্রচারের মাধ্যমে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

তাঁরা বলেন, সম্মানিত জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত এসব তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য ও প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ঘৃণ্য প্রয়াস। একজন সৎ, দক্ষ ও মানবিক প্রশাসক হিসেবে তিনি জেলার উন্নয়ন, সুশাসন ও জনকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।

ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক নিজেও এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “ভিত্তিহীন খবর সমাজে বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টি করে, যা কারও জন্যই মঙ্গলজনক নয়।” তিনি সংবাদ মাধ্যমগুলোকে সঠিক তথ্য যাচাই করে প্রচারের আহ্বান জানান।

সচেতন নাগরিক সমাজ জানায়,  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন এই ভুয়া ও মানহানিকর সংবাদের বিরুদ্ধে তদন্তমূলক আইনগত ব্যবস্থা নেয়। অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে যদি সংবাদটি ওয়েবসাইট থেকে প্রত্যাহার না করা হয়।

তারা অভিযোগ করেন, প্রতিবেদনে কোনো গ্রহণযোগ্য প্রমাণ বা উৎস নেই, সংবাদটির ভাষা ও উপস্থাপনা জেলা প্রশাসকের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করে, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে বিভাজন সৃষ্টির ইঙ্গিত রয়েছে এবং  এ ধরনের গুজব প্রশাসনিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি, জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন। মৌলভীবাজারের উন্নয়ন ও সুশাসনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আমরা তাঁর পাশে আছি এবং মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াব।

সকালে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমেদ মম। স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট আবু তাহের, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম শেফুল, সাংবাদিক মতিন বকস, মাওলানা আহমেদ বিলাল, অ্যাডভোকেট বকসী জোবায়ের, অ্যাডভোকেট ফয়সাল মিয়া, প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন, মেহরাজুল হক (সভাপতি, মৌলভীবাজার ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন), রহুল আমিন (সাধারণ সম্পাদক), অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ, মো. সাহাবউদ্দিন বাবলু (আহ্বায়ক, ওয়ারিয়র্স অব জুলাই), জুলাই যোদ্ধা কাজী মঞ্জুর ও সালে আহমদ সুমনসহ ছাত্রজনতা ও সচেতন নাগরিক সমাজের সদস্যরা।

জেলা প্রশাসকের স্ত্রী ও ভাতিজাকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগসহ নানা অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু কোনো দপ্তর, পদ বা প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। তথ্যপ্রমাণবিহীন ও মনগড়া সংবাদ প্রকাশ অপসাংবাদিকতার শামিল। এ মন্তব্য করে বক্তারা সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।

তাঁরা আরও বলেন, জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত। দরিদ্র, সাধারণ মানুষও তাঁর কক্ষে সরাসরি গিয়ে সহায়তা চাইতে পারেন। তাঁর সৃজনশীল চিন্তা, সুশাসন, দুর্নীতিমুক্ত কার্যক্রম ও ধর্মীয় সম্প্রীতিতে জেলা পেয়েছে এক নতুন গতি। এই ইতিবাচক পরিবর্তনই কিছু দুষ্কৃতিকারী ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর চোখে বালি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জেলার উন্নয়ন, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জনগণের সেবামুখী কার্যক্রম ব্যাহত করার অপচেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না।

এই সম্পর্কিত আরো