ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে থেমে থেমে যানজট লেগেই আছে। তবে আগের দিনের চেয়ে অনেকটা কমেছে। ইতিমধ্যেই মেরামত করা এই সড়কের একটি অংশ দেবে গেছে। কিছু কিছু জায়গা উঁচু-নিচু হয়ে পড়েছে, এতে ধীরে চলছে যানবাহন।
এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দেখভালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে একটি অস্থায়ী কার্যালয় করা হলেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর নাগাদ এটি বন্ধ পাওয়া যায়। গতকল বুধবার সড়ক পরিদর্শনে এসে ১২ কর্মকর্তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অফিস করার নির্দেশনা দিয়ে যান সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, নির্দেশনা অনুযায়ী তারা কাজ করছেন। যার যেখানে দায়িত্ব সেটি পালন করছেন তারা। হয়তো সেভাবে অফিসে বসা হচ্ছে না। কিন্তু সড়কের বিভিন্ন স্থানে তারা কাজের তদারকি করছেন।
বুধবার আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড মোড় আসতে খোদ উপদেষ্টা যানজটে পড়েন। বাধ্য হয়ে তিনি গাড়ি ছেড়ে মোটরসাইকেলে চড়েন। ১২ কিলোমিটার পথ তিনি পাড়ি দেন প্রায় আড়াই ঘণ্টায়।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত সড়কের দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার। এ পথটি পাড়ি দিতে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট সময় লাগে। তবে গত কয়েকমাস ধরে সড়কটির বেহাল দশার কারণে পথটি পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লেগে যায়। যানজটের কারণে ওই সড়কে ভোগান্তি চরমে।
এসব বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হলে সড়কটি পরিদর্শন করতে বুধবার ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসেন সড়ক ও পরিবহন উপদেষ্টা।
ওই সময় তিনি জানান, যানজট নিরসন ও সড়কটির সংস্কার কাজের দেখভাল করতে ১২ কর্মকর্তাকে নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করলে বরখাস্ত করা হবে।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘হাইওয়ে পুলিশ যথাযথ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সড়কে আগের দুই দিনের মতো যানজট নেই। বিশ্বরোড থেকে সিলেট অভিমুখে যে অংশে কাজ চলছে সেখানে কিছু যানজট রয়েছে। এ ছাড়া মেরামত করা সড়কের একটি জায়গা দেবে যাওয়ায় সেখানে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
তদারকির দায়িত্ব পাওয়া ১২ কর্মকর্তার একজন বলেন, ‘আমাদেরকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটি আমরা পালন করছি। অফিসের বাইরেও সাইডে আমাদের কাজ রয়েছে। সেখানে থেকে আমাদেরকে কাজের তদারকি করতে হচ্ছে। অন্যরাও একইভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।’
তদারকি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সড়ক জনপথ অধিদপ্তর নরসিংদীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজা-ই রাব্বি বলেন, ‘বিশ্বরোড অংশে আমার যাওয়া হয়নি। নরসিংদী থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটি পালন করছি।’