শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

সিলেটে শেষ পর্যায়ে প্রিপেইড মিটারের সার্ভার পরিবর্তনের কাজ

সার্ভার জটিলতায় গত ১৪ জুলাই প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করতে না পেরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছিলেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সিলেট-২ এর আওয়তাধীন গ্রাহকরা। এই সমস্যা নিরসনে পুরাতন প্রিপেইড মিটারের সার্ভার পরিবর্তন ও নতুন মিটার সংস্থাপন কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে সিলেট বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-২।

ইতোমধ্যে ৩০ হাজার ৮৯১টি মিটার পুরাতন মিটার বদলে নতুন মিটার স্থাপন করে নতুন সার্ভারে এন্ট্রি কাজ করা হয়ে গেছে। বাকী প্রায় ৬ হাজার গ্রাহকের পুরাতন মিটার ৩১ অক্টোবরের মধ্যে পাল্টানোর কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সিলেট-২ সূত্রে জানা যায়, পুরাতন মিটারে বিভিন্ন সমস্যা ও পুরাতন সার্ভারে জটিলতার কারণে গত ১ জুলাই থেকে এই মিটার বদলানোর কাজ শুরু হয়। এরমধ্যে বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সিলেট-২ এর আওতাধীন গ্রাহকরা সার্ভার জটিলতায় পরে গত ১৪ জুলাই প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করতে না পেরে চরম ভোগান্তির শিকার হন। এরপর রাত ৮টার দিকে সার্ভারের সমস্যা সমাধান হলেও স্থায়ী সমাধানের পুরাতন মিটার পরিবর্তন কার্যক্রম চলমান রাখে বিদ্যুৎ বিভাগ। ইতোমধ্যে ঢাকার সার্ভার পরিবর্তন করা হয়েছে এবং নতুন মিটার দিয়ে নতুন সার্ভারে এন্ট্রি করার কাজ চলমান আছে। ডিভিশন ২ এর আওতাধীন সব গ্রাহকের বাসায় মিটার বদলানো হচ্ছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই সার্ভার ও মিটার বদলের কারণে গত ১৪ জুলাই যে ভোগান্তি হয়েছিল এ ধরনের বড় ধরনের ভোগান্তি আর হবে না। পুরাতন সার্ভারে ত্রুটির কারণে ঘন ঘন মিটার লক হয়ে যেত। নতুন মিটারে এই লক হওয়ার সমস্যা সহজে হবে না। আগের মিটারে ভাল ব্যাটারিও সার্ভার থেকে ডিসকানেক্ট দেখাতো। নতুন মিটারে ব্যাটারি পরিবর্তনের কাজটিও ঘন ঘন করা লাগবে না। পাশাপাশি এই মিটারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল সরকারি ছুটির দিনে মিটারের টাকা শেষ হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হবে না। মানে সরকারি ছুটির রাতে মিটারের টাকা শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ থাকবে পরবর্তী দিন সকাল ১০টা (ব্যাংকিং আওয়ার শুরু) পর্যন্ত। ওই সময় যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হবে সেটা মাইনাস হয়ে থাকবে। পরবর্তীতে রিচার্জ করলে এটা সমন্বয় হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, মিটার পরিবর্তনের প্রজেক্ট আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আছে। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে সব গ্রাহককে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করা হয়েছে। মিটার পাল্টাতে কোনো খরচ নেয়া হচ্ছে না গ্রাহকদের কাছ থেকে। বিনামূল্যে মিটার পাল্টানোর ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগ পত্র পত্রিকায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও মাইকিং করেছে।

সিলেট নগরীর নয়াসড়ক এলাকাস্থ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান সেইলর এর আউটলেট ম্যানেজার এমডি নাইম ভূঁইয়া বলেন, আমরা ২০দিন হল নতুন মিটার স্থাপন করেছি। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আমরা মিটার বদল করছি। এখন পর্যন্ত মিটারে কোনো সমস্যা হয়নি। পাশাপাশি আমাদের পুরাতন মিটার বেশকিছু পরিমাণ টাকা ছিল সেটাও আমরা রিফান্ড পাবো বলে আশ্বস্ত করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সিলেট-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামছ-ই-আরেফিন বলেন, আমাদের সার্ভার জটিলতা জন্য আমরা ১ জুলাই থেকে মিটার পরিবর্তন শুরু করেছিলাম। এরমধ্যে ১৪ জুলাই প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করতে না পেরে চরম ভোগান্তিতে পরেন গ্রাহকরা। এরপর আমরা আমাদের মিটার পরিবর্তনের প্রজেক্টের কাজ আরও দ্রুত গতিতে শুরু করি। আমাদের কর্মীরা সব গ্রাহকদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেছেন বিনামূল্যে মিটার পাল্টানোর জন্য। ইতোমধ্যে আমরা ৩০ হাজার ৮৯১টি মিটার পাল্টে নতুন মিটার স্থাপন করে নতুন সার্ভারে এন্ট্রি করিয়েছি। আরও প্রায় ৬ হাজার গ্রাহক বাকী আছেন। তাদের মধ্যে কেউ বলেন বুঝে মিটার পাল্টাবেন আবার কেউ প্রশ্ন করছেন কেন পাল্টাবেন। আমরা গ্রাহকদের যথাসাধ্য বুঝানোর চেষ্টা করেছি। যারা বলছেন পরে মিটার লাগাবো বা বুঝে লাগাবো তাদের অনুরোধ করছি পরিবর্তনকারী দল যখন বাসায় যাবে তখন মিটার বদলে ফেলেন। আমাদের লোকজন যাওয়ার পরও যারা মিটার বদলাননি তারা দ্রুত অফিসে যোগাযোগ করেন। তা না হলে ৩১ অক্টোবরের পরে আমরা এই দায় দায়িত্ব নিতে পারবো না। কারণ এর প্রজেক্ট চলে যাবে। তখন তাদের নিজেদের টাকায় মিটার কিনে লাগাতে হবে। তাছাড়া আমাদের কাছেও মিটারের মজুদ সব সময় থাকে না।

সবাইকে বিনামূল্যে নতুন মিটার স্থাপনের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা নতুন মিটার স্থাপন করে পুরাতন মিটারের ব্যালেন্স ফেরত দিচ্ছি একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। পুরাতন মিটারের ব্যালেন্স সবাইকে নিশ্চিত করছি। তাই নতুন মিটার লাগালে কোনো লস হবে না গ্রাহকদের।

এই সম্পর্কিত আরো