লন্ডন থেকে ফেরার পথে বিমানের ভেতরে উত্তেজিত হয়ে ঘুষি মেরে মনিটর ভেঙেছেন এক যাত্রী। বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) সকালে ফ্লাইটটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাকে আটক করা হয়েছে।
পরে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজেস্ট্রেট তাকে ভেঙে ফেলা মনিটরের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্য়ন্ত তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের হেফাজতে রয়েছেন বলে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সহকারী ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। অভিযুক্ত ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী যাত্রীর নাম মো. শওকত আলী। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিলেটগামী ফ্লাইট বিজি-২০২–এর যাত্রী ছিলেন। তার বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায়।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, যাত্রাপথে কোনো এক পর্যায়ে শওকত আলী উত্তেজিত হয়ে নিজের সামনের আসনের মনিটরে ঘুষি মারেন, এতে মনিটরটি ভেঙে যায়। বিষয়টি ক্রু সদস্যদের নজরে এলে অবতরণের পরই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২৭-এ আসনের ওই যুবক মদ্যপ ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। বিমানে ওঠার পর সহযাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের এক পর্যায়ে তিনি মারমুখী আচরণ শুরু করেন। কোনোভাবেই নিবৃত করা সম্ভব না হওয়ায় দড়ি দিয়ে তাকে নিজের আসনের সঙ্গে বেঁধে রাখে লোকজন। এরপর থেকে তিনি ক্রুদের, বিশেষ করে নারী ক্রুদের অশ্লীল গালি-গালাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি ২৭-সি নম্বর সিটের মনিটর ঘুষি মেরে ভেঙে ফেলেন।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ বলেন, ‘ওই যাত্রী বর্তমানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের হেফাজতে রয়েছেন। তিনি ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত তার পরিবারের লোকজন জরিমানার টাকা নিয়ে আসেননি।’
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সহকারী ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন বলেন, সকালে বিমানের ওই ফ্লাইটটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরই অভিযুক্ত যাত্রীকে আটকে রেখে ভ্রাম্যমান আদলতের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এমদাদুল হক শরীফ তাকে মনিটারের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। তার পরিবারের লোকজন এখনও জরিমানা না দেওয়ায় তিনি আদালতের হেফাজতেই রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ওই ফ্লাইটের ১০জন যাত্রীর বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তাদের ভাষ্যমতে তিনি মদ্যপ ছিলেন।’