বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

সিলেটে ট্রেন দুর্ঘটনা

লোকো মাস্টারসহ দুইজন সাময়িক বরখাস্ত, তদন্ত কমিটি গঠন

সিলেটের মোগলাবাজারে উদয়ন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও তিনটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ট্রেনটি লোকো মাস্টারসহ দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। 

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সাময়িক বরখাস্তকৃতরা হলেন, ট্রেনটির লোকমাস্টার (চালক) মো. ইলিয়াস ও সহকারী লোক মাস্টার জহিরুল ইসলাম নোমান। 

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজারে ইঞ্জিন ও তিনটি বগিসহ লাইনচ্যুত হয় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা উদয়ন এক্সপ্রেস। এতে চালকসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুইজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

এদিকে, ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক, ঢাকা এ কমিটি গঠন করেন। কমিটির সদস্যরা হলেন রেলওয়ের ঢাকা অঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা, বিভাগীয় প্রকৌশলী-২, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী, বিভাগীয় সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী। কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সিলেট ও মোগলাবাজার রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে কালনী এক্সপ্রেস সিলেট স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা উদয়ন এক্সপ্রেসকে মোগলাবাজারে ক্রসিং করার কথা ছিল। সেই আলোকে কালনি এক্সপ্রেস মোগলাবাজার স্টেশনে বিপরীত দিক থেকে আসা উদয়নএক্সপ্রেসকে ক্রসিং করে। কিন্তু এসময় সিলেটগামী উদয়ন এক্সপ্রেসকে মোগলাবাজারে রেল ক্রসিংয়ের লুপ লাইনে থামার সিগন্যাল দেওয়া হয়। চালক সিগন্যাল না মেনে লুপ লাইন দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় ইঞ্জিন ও তিনটি বগি উল্টে লাইনচ্যুত হয়। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পান যাত্রীরা।

মোগলাবাজার রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী মাস্টার  মো. জসিম উদ্দিন বলেন, কালনী এক্সপ্রেস ক্রসিংয়ের সময় উদয়নের চালককে থামার জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়। কিন্তু চালক সিগন্যাল না মেনে সামনে চলে যান। এতে করে ইঞ্জিন ও তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। 

এ ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেটর জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। এসময় তিনি বলেন, উদ্ধারকারী ট্রেন এসে দুর্ঘটনাকবলিত ইঞ্জিন ও বগি উদ্ধার করবে। আজকের মধ্যে লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার করা হবে। 

তিনি আরও বলেন, সরকারি বাসা বা স্থাপনা সাবলেট (তৃতীয় পক্ষকে ভাড়া) দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিলেট শহরে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। পর্যায়ক্রমে রেলওয়েসহ সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।’

সারওয়ার আলম বলেন, ‘রেল স্টেশনে কোনো দালালচক্র বা টিকিট কালোবাজারি থাকবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি সিলেটের যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে ট্রেন ও বগি বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ের সাথে যোগাযোগ করা হবে বলে জানান ডিসি।’

সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলাম বলেন, উদয়ন এক্সপ্রেস লাইনচ্যুতের ঘটনায় ট্রেনটির লোকমাস্টার ও সহকারী লোকো মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

এই সম্পর্কিত আরো