সিলেটে ক্রমেই বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনা। প্রায় প্রতিদিনই বিভাগের কোথাও না কোথাও সড়কে প্রাণহানীর খবর পাওয়া যাচ্ছে। দীর্ঘ হচ্ছে সড়কে লাশের মিছিল। নতুন বছরের প্রথম ১০ দিনে সড়ক দূর্ঘটনার কারণে প্রাণহানী ঘটেছে ৯ জনের। আহত হয়েছেন আরো ৩৪ জন।
বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার মুড়াউড়ায় লরিকে ওভারটেকিং করতে গিয়ে আহমদ আলী সুমন (২১) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। এ ঘটনায় আরো দুজন আহত হয়েছেন। উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের মুড়াউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আহমদ আলী সুমন বাহুবল উপজেলার চলিতাতলা গ্রামের ছুরাব উল্লার ছেলে।
৩ জানুয়ারি সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বাস ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষ অন্তত ২৫ জন আহত হন।
সিলেট থেকে চাঁদপুরগামী একটি বাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এসময় প্রাইভেট কার ও বাস সড়কের পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে গেলে বাস ও প্রাইভেটকারের থাকা প্রায় ২৫ জন যাত্রী আহত হন।
২৫ ডিসেম্বর ঘটা মর্মান্তিক এক সড়ক দূর্ঘটনায় একই পরিবারের তিন জন নিহত হন। দূর্ঘটনায় এক শিশুর পর কিৎসাধীন থাকা অবস্থায় প্রথমে দাদি এরপর ফুফুর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি শিশুটির ফুফু সফাতুন নেছা মৃত্যুবরণ করেন। ২৫ ডিসেম্বর জুলাই ব্রীজের পশ্চিম পাশে ট্র্যাক্টরের সাথে সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষ ঘটে। এতে সিএনজি চালকসহ ওই পরিবারের ৬ জন গুরুতর আহত হন।
৪ জানুয়ারি রাতে জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কের আটগ্রাম স্টেশন এলাকায় ট্রাক-সিএনজির সংঘর্ষে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। হত বৃদ্ধ কসকনকপুর ইউনিয়নের বিয়াবাইল গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে কাজী কমর উদ্দিন (৬২)। দুর্ঘটনায় সিএনজি অটোরিকশা চালক আহত হয়েছেন। তার নাম মাসুম আহমেদ রাজ।
৫ জানুয়ারি সকালে সিলেট-তামাবিল-জাফলং মহাসড়কের পাশ থেকে এক সেলুন ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২ নং লক্ষিপুর গ্রাম সংলগ্ন এলাকা হতে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সালাউদ্দিন (৩৫) ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার নয়ামোড়া গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার পুত্র। লাশ উদ্ধারের পর প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় রাতের বেলা কোন গাড়ি তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেছে।
৬ জানুয়ারি সকালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের সিচনি এলাকায় এই সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন, দিরাই উপজেলার নুরপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ মখদ্দুস আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম (৫০) ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার আক্তাপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে রাজিন আহমেদ (২৬)।
৮ জানুয়ারি সিলেট-তামাবিল-জাফলং মহাসড়কের উমনপুর টার্নিং পয়েন্টে দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়। বাসের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাম রুমেল আহমেদ (২০) উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পানিছড়া গ্রামের হোসেন আহমদ এর ছেলে।
সর্বশেষ গত ৯ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ শান্তিগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক নারী নিহত হয়েছেন। উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের দিরাই-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারী নগর গ্রামের মৃত সুবল দাসের স্ত্রী গীতা রানী দাস(৬৫)।