প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ চিত্রে ভরপুর সিলেটের সীমান্তঘেঁষা নদীবাহিত পর্যটন কেন্দ্রগুলো দীর্ঘদিন ধরে দেশি-বিদেশি ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তবে অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের অভাবে এই পর্যটন স্পটগুলো টেকসই উন্নয়নের পথে পিছিয়ে ছিল।
বিগত সময়ে এ বিষয়ে মহাপরিকল্পনার আলোচনা শোনা গেলেও বাস্তবায়ন হয়নি। এবার অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পর্যটন এলাকায় সরকারের চারটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়—পর্যটন, পরিবেশ, জ্বালানি ও পানি সম্পদ—এর উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল সিলেট জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে যৌথভাবে পরিদর্শন করে। তারা জানান, জাফলংসহ সিলেটের আরও ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন করা হবে।
সাদা পাথর এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, মহাপরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রেখে সহজলভ্য যাতায়াত নিশ্চিত করা, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুবিধা বৃদ্ধি করা, স্থানীয় ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং স্থানীয় কর্মসংস্থানে উৎসাহ দেওয়া।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, “আমরা এখন একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। ভবিষ্যতে আপনাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়েই এ পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়া হবে।”
পরিদর্শন দলে নেতৃত্ব দেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আ. ন. ম. বজলুর রশীদ। উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল ইসলাম, ডা. মোহাম্মদ আলী রেজা খান, স্থপতি অধ্যাপক রফিক আজম, এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও আইএবি’র সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ, স্থপতি মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ এবং স্থপতি আসিফ ইমরান খান রাফসান।
এ সময় সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রতন শেখ, বিজিবি, স্থানীয় সাংবাদিক ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।