২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে একজন শিক্ষার্থীও পায়নি সিলেটের ৫টি কলেজ। ভর্তির জন্য তিন দফা আবেদন শেষ হলেও একজন শিক্ষার্থীও এই ৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করেনি। যার কারণে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী শূন্যই থেকে গেছে ৫ কলেজ।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সহকারী কলেজ পরিদর্শক আবুল কালাম সিলেট ভয়েসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
৫টি কলেজের মধ্যে রয়েছে-সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার আশুগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, জৈন্তাপুর উপজেলার রাংপানি ক্যাপ্টেন রশিদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং হানিফা খাতুন মেমোরিয়াল কলেজ, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ড. মহিউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এবং আজমিরীগঞ্জ উপজেলা হাজী আব্দুল হেকিম ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ।
শিক্ষাবোর্ড বলছে, এবার এসএসসিতে পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক কম এবং কলেজগুলোর অবস্থান হাওর ও প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তবে শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেদারছে কলেজের অনুমোদন দেওয়ায় মানসম্মত ও গুণগত শিক্ষা ব্যবস্থার উপর প্রভাব পড়ছে। যার কারণে অনেক কলেজ কাঙ্খিত শিক্ষার্থী পায়নি।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের অধীনের ৩৪৮টি কলেজ রয়েছে। এসব কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আসন রয়েছে এক লাখ ৪২ হাজার ৭৫০টি। যা এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর তুলনায় দ্বিগুণের চেয়ে বেশি।
এদিকে, এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের তুলনায় আসন সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়া সত্ত্বেও ১৬৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য কোনো কলেজে নির্বাচিত হয়নি। এ অবস্থায় আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে ভর্তি কার্যক্রম। পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হবে।
শিক্ষাবোর্ডের তথ্যমতে, এবারের শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য তিন দফায় মোট ৬১ হাজার ৮৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে ২৫ হাজার ১৮৬ জন ছেলে এবং ৩৫ হাজার ৯০৩ জন মেয়ে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬০ হাজার ৯২২ জন শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৬৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য কোনো কলেজে নির্বাচিত হয়নি।
এর আগে চলতি শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রথম দফায় ৩০ জুলাই আবেদন শুরু হয়ে শেষ হয় ১১ আগস্ট। দ্বিতীয় দফায় আবেদন চলে ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবশেষ তৃতীয় দফায় আবেদন শুরু হয় ৩১ আগস্ট, যা শেষ হয় ১ সেপ্টেম্বর।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সহকারী কলেজ পরিদর্শক আবুল কালাম সিলেট ভয়েসকে বলেন, এবার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছু কম। আবার কলেজের আসন সংখ্যা বেশি। তাই অনেক শিক্ষার্থী তাদের পছন্দের কলেজে আসন বরাদ্দ পেয়েছেন। ফলে ওই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান কোনো শিক্ষার্থী পায়নি।
তিনি বলেন, কলেজগুলোর বেশিরভাগই প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। তাই অনেক শিক্ষার্থী আবেদনের সময় এসব কলজকে পছন্দের শেষের দিকে রাখেন। ফলে পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকা কলেজেই তাঁরা আসন বরাদ্দ পেয়ে যান।