বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় সিলেটে আরেক মামলা হয়েছে। মামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলসহ ৬৫ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
গত ৪ আগস্ট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার হলদারপুর গ্রামের এস কে এ কাদিরের ছেলে এস এম পলাশ। তিনি বর্তমানে সিলেট নগরীর পাঠানটুলাস্থ আল-আমিন রোডের বাসিন্দা।
গত বছরের ১৯ জুলাই বন্দরবাজার কালেক্টরেট জামে মসজিদে এবং ৪ আগস্ট বন্দরবাজার ও বারুতখানায় সশস্ত্র হামলার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার এজহারনামীয় আসামীদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, সিসিকের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েক, মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিমাদ আহমদ রুবেল, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বিজিত চৌধুরী, গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ আহমদ শামীম, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রূকন, কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক তমিজ উদ্দিন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন রাহি।
আদালতের নির্দেশে ৪ আগস্ট কোতোয়ালী থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়েছে। কোতোয়ালী থানার সিআর মামলা নং ৯০৮/২০২৫।