নবীগঞ্জের গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন মোস্তাকিম মিয়া (১৭) নামে এক কিশোর। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের নিজ বসতঘরে এ খুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোস্তাকিনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহত মোস্তাকিম মিয়া পুরানগাঁও গ্রামের মৃত জফর মিয়ার ছেলে। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রী।
হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের মৃত জফর মিয়ার ৫ ছেলের মধ্যে নিহত মোস্তাকিন চতুর্থ, দুই ছেলে প্রবাসী ও অপর দুই ছেলে অন্যত্র কাজ করে। নিজ বাড়িতে মোস্তাকিম তার মা ও প্রবাসী দুই ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করে আসছিল। রোববার সন্ধ্যায় মৃত জফর মিয়ার শাশুড়ি অসুস্থ হওয়ায় জফর মিয়ার স্ত্রী বসত ঘরে প্রবাসী দুই ছেলের দুই স্ত্রী ও ছেলে মোস্তাকিন মিয়াকে রেখে পিত্রালয়ে চলে যান।
সন্ধ্যার দিকে নিজ বসতঘরে মোস্তাকিন মিয়া ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে বাথরুমে যান মোস্তাকিন। পরে বাথরুম থেকে নিজ বসতঘরে প্রবেশের পর মোস্তাকিন মিয়ার চিৎকার শুনে দৌড়ে আসেন দুই ভাইয়ের স্ত্রী। পরে খাটের ওপর মোস্তাকিন মিয়ার গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন তারা। এসময় আশপাশের স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
পরে খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেনসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মোস্তাকিন মিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। এদিকে, বসতঘরে গলাকেটে কিশোর মোস্তাকিনকে হত্যার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, নিজ বসতঘরে মোস্তাকিন নামে এক কিশোরকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ঘরে তখন শুধুমাত্র দুই ভাইয়ের দুই স্ত্রী ছিল। নারী সংক্রান্ত গোপন কোনো ঘটনাকে কেন্দ্রে করে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হতে পারে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগে-পরে যারা ঘটনাস্থলে বা আশপাশে ছিলেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।