✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো ফ্যাসিবাদের জায়গা হবেনা: মুশফিকুল ফজল

সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেছেন, আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে আপস হলে জুলাই বিপ্লবের শহীদদের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে। এদেশের ছাত্র-জনতা তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো ফ্যাসিবাদের জায়গা হবেনা। 
   

তিনি রোববার সিলেট সার্কিট হাউসে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। সিলেট জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় সিলেটের বিভিন্ন প্রশাসন, রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সভাপতিত্বে বক্তব্যে মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও বলেন, অনেকে অভিযোগ করেন- অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এখনও ফ্যাসিবাদের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। তবে অসংখ্য মীর মদন এবং মোহনলালের মধ্যে কিছু জগৎশেট ও মীর জাফরের আনাগোনা কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় কারা জড়িত সে ব্যাপারে সুচারুরূপে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশের সরকার প্রধান হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বাড়তি পাওনা কিছু নেই বলে মনে করেন সিনিয়র সচিব মুশফিক। তিনি বলেন, সমগ্র দুনিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস। জাতির প্রয়োজনে তিনি সামনে এসে দেশের সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন।

মুহাম্মদ ইউনুসের থ্রি-জিরো থিওরি সারা দুনিয়া গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে মুশফিকুল ফজল বলেন, জাতিসংঘে তার বক্তৃতা সারা পৃথিবীর নেতারা মনোযোগ দিয়ে শুনেন। জাতিসংঘের সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল এই থ্রি-জিরো থিওরি গ্রহণ করেছে। দক্ষিণ কুরিয়া, ফ্রান্স এই পদ্ধতিকে নিজেদের উন্নয়নের রূপরেখায় যুক্ত করেছে। 

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মতো মানুষকে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল এবং সর্বস্তরের মানুষ যেভাবে সহযোগিতা করেছেন সে ধারা অব্যাহত রাখতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সকলেই জানেন এটা অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। জনগণের আমানতদারী হাতে তুলে দেয়া পবিত্র দায়িত্ব তারা কাঁধে নিয়েছেন। ১৫ বছরের জঞ্জাল এবং পচাগলা নির্বাচনী ব্যবস্থা থেকে তুলে আনতে যে সময়টুকু প্রয়োজন সে সময় সরকারকে দেয়া উচিত।  

সভায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মোহাম্মদ রেজাউন নবী, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ রেজাউল করিম, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, সিলেট মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মহানগর নায়েবে আমীর ড. নুরুল ইসলাম বাবুল, সিলেটের অন্যতম ছাত্র সমন্বয়কারী দেলওয়ার হোসেন শিশির, বাচিক শিল্পী সালেহ আহমদ খসরু, এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি, তাহসিন শারমিন তামান্না  প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

এই সম্পর্কিত আরো