✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

জামালগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষ

প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের হামলায় দুই নারীসহ গুরুতর আহত ৩ জন

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই নারীসহ গুরুতর জখম হয়েছে ৩ জন।
বুধবার সকালে উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের জলিলপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের জলিলপুর গ্রামের মৃত হবিবুর রহমানের ছেলে নবী হোসেনের সাথে জমির রেকর্ডীয় মালিকানা নিয়ে জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভাটিলালপুর গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা মন্টু মিয়ার (৫৮) বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন যাবত। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)র কাছে বিচারাধীন রয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় বুধবার সকালে সজিব মিয়া  ( ১৮) ও রবি আউয়াল (১৮) বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে ধান চাষের জন্য জমিতে কাজ করছিলেন।

এতে খবর পেয়ে বিবাদী আওয়ামীলীগ নেতা মন্টু মিয়া ও তার ভাই সেন্টু মিয়া দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ প্রায় ২০/২৫ জনকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জমিতে কাজ করার কারনে সজিব মিয়া ও রবি আউয়ালকে গালাগালি করার এক পর্যায়ে তাদের উপর হামলা করে। হামলায় শিকার আহতদের চিৎকার শুনে সন্তানদের রক্ষা করতে সজিবের মা মোছা. সেনোয়ারা (৩৮) ও রবি আউয়ালের মা মোছা. মঞ্জুরা বেগম (৩৭) দৌঁড়ে আসেন। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে মন্টু মিয়া ও সেন্টু মিয়া তাদের দলবলসহ অস্ত্র দিয়ে দুই নারীসহ সজিব ও রবি আউয়ালের উপর হামলা করেন। 
হামলায় দুই নারী অতিরিক্ত জখম হলে আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে ফোনে খবর পেয়ে বাদী নবী হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে উদ্বার করে চিকিৎসার জন্য জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে উৎপেতে থাকা মন্টু মিয়ার ছেলে ছোটন মিয়া (২৬), রহমান মিয়ার ছেলে মো. জহিরুল (২৫), রফিকুল (৩২), ইউসুফ আলীর ছেলে রহমত উল্লাহ (২৫), ও শহীদ মিয়ার ছেলে মো. রাকিব মিয়া (২৫) দ্বিতীয় দফায় দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন নবী হোসেনকে। এসময় আহত নবী হোসেন আহত দুই নারীকে হাসপাতালে ফেলে নিজে প্রাণে বাঁচার জন্য জামালগঞ্জ কলেজ গেটের দিকে দৌঁড়ে পালাতে চাইলে পিছু নিয়ে বিবাদীরা সেখানে গিয়েও আরেক দফা হামলা করেন নবী হোসেনের উপর। পরে পথচারীরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এসময় আহতদের চিকিৎসার জন্য সাথে থাকা নবী হোসেনের ৩৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন।

পরে আহত নবী হোসেন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ ও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত করে জামালগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা করে থানা থেকে বের হয়েও থানা সংলগ্ন রাস্তায় ওঁৎপেতে থাকা মন্টু মিয়ার লোকজন তৃতীয় দফায় হামলা চালায় নবী হোসেনের উপর। এরপর পুলিশ নবী হোসেনকে উদ্ধার করে তার আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে দেয়।


এব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ.ম কামাল হোসেইন বলেন, জখমী নবী হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

এই সম্পর্কিত আরো