বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তাকে উপজেলার স্বজনগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর দলীয় নেতাকর্মীসহ তার গ্রামের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে নাম ও পিতার নামে অমিল থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত শওকত আকবর (৫২) লাখাই সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থাানার একটি হত্যা মামলার ২০৮নং আসামি।
লাখাই উপজেলার স্বজনগ্রাম ফাঁড়ির ইনচার্জ নানু মিয়া বলেন, ঢাকা থেকে একটি হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতারের বিষয়ে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু মামলা লেখা আছে শওকত মিয়া, পিতা সুরফত আলী। অথচ যাকে আটক করা হয়েছিল তার নাম শওকত আকবর এবং পিতার নাম মুরফত আলী। তাকে আটকের পর লোকজন এসে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। তারা এসে দাবি করেন নাম ঠিকানা মিল নেই। তাকে কেন আটক করা হয়েছে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে আসামি ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বন্দে আলী জানান, খবর পেয়ে আমি স্বজনগ্রাম ফাঁড়িতে এসেছি। আসলে এলাকাটি একেবারেই প্রত্যন্ত অঞ্চল। যাতায়াত ব্যবস্থাও খুব নাজুক। হাওড়ের মাঝখানে অবস্থিত।
তিনি বলেন, আটককৃত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মামলার এজাহারের নাম ও পিতার নামে অমিল রয়েছে। তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেহেতু তার নাম ও পিতার নামে মিল নেই তাই তাকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে গ্রামের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে ফাঁড়ির সামনে জড়ো হয়। চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।