অনিন্দ্য সুন্দর ভূমি সিলেট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিও বলা হয় এই অঞ্চলকে। ছুটি পেলেই পর্যটকরা ছুটে আসেন সিলেটে। এবার বড়দিনের ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটিতেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। ইতোমধ্যে মহানগরের প্রায় সবকটি হোটেল পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। বড়দিন উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা ঢানা চারদিনের ছুটি পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ‘ছুটি ম্যানেজ’ করতে হচ্ছে চাকরিজীবীদের। আর এই চারদিনকে আন্দনমুখর করে তুলতে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করেছেন পর্যটকরা।
২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের সরকারি ছুটি। একদিন পর ২৭ ও ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার ও শনিবার হওয়ায় এই দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি। অনেকেই সরকারি চাকরিজীবী ও ব্যাংক কর্মীরা ২৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ছুটি নিয়ে টানা চারদিন ছুটি ভোগ করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটের অন্যতম হযরত শাহজালাল-শাহপরাণ (র.) মাজার, চা বাগান, জাফলং, রাতারগুল জলাবন, হাকালুকি হাওর, লালাখাল, ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি পর্যটকমুখর রয়েছে। অপরূপ এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকরা বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে উপচে পড়া ভিড় ছিলো।
কুমিল্লা থেকে শাহজালাল (র.) মাজারে ঘুরতে আসা সরকারি চাররিজীবী এমদাদ হোসেন বলেন, পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে চার দিনের জন্য সিলেট ঘুরতে এসেছি। বৃহস্পতিবার ছুটিটা ম্যানেজ করে নিয়েছি। তাই ঢানা চারদিনের এই ছুটি কাজে লাগাচ্ছে। এতদিন জাফলং-সাদাপাথরের নাম শুনেছি। এখন নিজ চোখে এর অপার সৌন্দর্য উপভোগ করবো। এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর। আমাদের সবার ভালো লাগছে।
সিলেট ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, ট্যুরিস্টদের সেবাদানে আমরা সবসময় প্রস্তুত রয়েছি। তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আমাদের ইউনিটগুলো কাজ করছে। সিলেটের সব স্পটে বাড়তি ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার কোনো কমতি নেই।