✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

সিলেট কাস্টমস অফিস মালামাল যাচ্ছে কোথায়!

সিলেটের জিন্দাবাজারের কাস্টমসের বিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জব্দকৃত মালামাল চুরি সন্দেহে একজনকে আটক করেছে জনতা। আটককৃতের নাম মঞ্জুর হোসেন বলে জানা গেছে। তিনি কাস্টমস অফিসের নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করেন। 

জানা যায়, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত অনুমান ১১টার সময় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, রাতের আধারে কাস্টমস অফিসের একজন নিরাপত্তা কর্মী সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক জব্দকৃত মালামাল বের করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় জনতা দেখে ঐ নিরাপত্তা কর্মীকে আটক করেন। 

উপস্থিত জনতা জানান, প্রতিদিনি এরকম মালামাল বের করে সে নিয়ে যায়। আজ থাকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। 

তবে আটক মঞ্জু হেসেন গণমাধ্যমকে জানান, তিনি বিজিবি সদস্যদের বলে মালামাল নিচ্ছেন। মালামালগুলো মধ্যে কিছু খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেট খোলা ছিল, সম্ভবত বিজিবি এখান থেকে খেয়েছে! তাই তিনি বিজিবিকে বলে মালামালগুলো বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আটক মঞ্জু হোসেনের কাছে ভারতীয় শাড়ি ও অন্যান্য পণ্য পাওয়া যায়।

পরে পুলিশ কাস্টমস অফিসের ভিতরে গেলে রাতের বেলা কর্তব্যরত অবস্থায় কাস্টমস কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন মিয়াকে পান। পুলিশ উর্ধ্বতন  কর্তৃপক্ষের কাছে ফোন দেয়ার কথা বললে প্রথমে তিনি নানা তালবাহানা করেন। পরে জনতার চাপে ফোন দিতে বাধ্য হন। জালাল উদ্দিন মিয়া এডিসি ২ রিজভী আহমদকে বিষয়টি জানান। রিজভী আহমদ মোবাইলে জালাল উদ্দিনকে বলেন, আজ বিকেলে ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে। এদিকে নিরাপত্তা প্রহরী মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে এই মালামাল পাচারের ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন জড়িত আছেন, তা না হলে একজন নিরাপত্তা প্রহরী কীভাবে ভেতর থেকে মালামাল বাহিরে নিয়ে যেতে পারেন। উনি প্রতিদিন কাস্টমস থেকে মালামাল নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করেন। এমনকি জালাল উদ্দিন মিয়া এসব কাজে কেউ তাকে বাধা যাতে না দেয় সেজন্য তিনি মাঝে মধ্যে ভারতীয় বিভিন্ন পন্য আরিফসহ অন্যান্যের বখড়া দিয়ে থাকেন। দীর্ঘদিন থেকে রাতের আধারে  এভাবে জব্দকৃত মালামাল বাহিরে নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে আজ সরেজমিনে আটক করা হয়। 

এ ব্যাপারে কাস্টমস অফিসের কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন মিয়া বলেন, নিরাপত্তা প্রহরী সরকারী লোক। ও কী করছে তা খেয়াল রাখার দ্বায়িত্ব আমার না ও ভিতরে আসার অনুমতি আছে। উনার জড়িত থাকার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে উনি বলেন, কতৃপক্ষ দেখবে, উনারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।  

এ ব্যাপারে কাস্টমস অফিসের রাজস্ব কর্মকর্তা শ্রবনা আফরিন বলেন, এগুলো বিষয়ে আমি জানি না। আমি ১৫ দিনের ছুটিতে এসেছি।  

এ ব্যাপারে কাস্টমস অফিসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সুমন আল মাসউদের সাথে কথা হলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তিনি তাঁর স্যারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন এবং অফিসে যেতে বলেন।  

এ বিষয়ে সিলেট কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক জানান, আমরা নিরাপত্তা প্রহরীকে আদালতে প্রেরণ করেছি। এই বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই সম্পর্কিত আরো