সম্প্রতি টঙ্গি ইজতেমা ময়দানে গভীর রাতে উগ্র সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের হামলায় ৪ জন শহীদ, অসংখ্য আহত ও নিখোঁজের প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তিসহ নিষিদ্ধের দাবীতে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে দোয়ারাবাজারে সর্বস্থরের ওলামায়ে কেরাম ও তাওহীদি জনতার মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারকে বিতর্কিত করার পতিত স্বৈরাচারের যে ষড়যন্ত্র তারই অংশ হিসেবে তাবলীগ জামাতের উপর নগ্ন হামলা এবং তাবলীগের দাওয়াত নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। ভারত ও ইসরায়েল পন্থী মাওলানা সাদ দীর্ঘদিন যাবত তাবলীগের দাওয়াতের কাজকে বিতর্কিত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বর্তমান সরকার ধৈর্যের মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছে। এ সময় বক্তারা সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, অন্যথায় ভবিষ্যতে এরা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন। এতাতীদের ষড়যন্ত্রের পূর্বের ইতিহাস তুলে ধরে তাওহীদী জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এধরনের অপচেষ্টা রুখে দিতে উদাত্ত আহবান জানান বক্তারা।
মাওলানা ফজলুল করিমের সভাপতিত্বে ও মাওলানা মহসিন আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে দাবি উপস্থাপন করেন খেলাফত মজলিস নেতা ও উপজেলা হেফাজত ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল হক নমু, তাবলীগের মুরুব্বি আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা খলিলুর রহমান, উপজেলা হেফাজত ইসলামের সভাপতি মাওলানা হোসাইন আহমদ ক্বাসেমী, বালিউড়া ক্বওমী মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আখতার হোসাইন, মাওলানা আলী হায়দার, উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা মঈনুল হক, উপজেলা হেফাজত ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুর রহমান, শরীফপুর মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম রফিকুল ইসলাম , মাওলানা আব্দুল হামিদ, মাওলানা একরামুল হক, মাওলানা গিয়াসউদ্দিন, মাওলানা ছবির আহমদ, মাওলানা কামরুল ইসলাম, মাওলানা কবির আহমদ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের নেতা মাওলানা মোহাম্মদ আলী, হাফিজ আব্দুর রউফ, মৌলভী আকরাম হোসেন, সাইদুল ইসলাম, মো. ফরহাদ আলম, আবুল হোসেন, আলী আসকর, মো. মহি উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন, আব্দুর রহমান, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা প্রশাসনের নিকট স্মারকলিপি জমা দেন আলেম-ওলামার ও তৌহিদী জনতা।