নৌপরিবহণ মন্ত্রণালযের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আমাদের যুদ্ধটি আমরা শুরু করেছিলাম, আমাদের যুদ্ধটি আমরাই সমাপ্ত করেছি। সেখানে অবশ্যই সহযোগীতা ভারতের ছিল তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আমরা সেটাও স্মরণ করি এবং সব সময় স্মরণ রাখবো বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে। সেটা যদি উনারা উনাদের ইতিহাসে অন্যভাবে দেখেন সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা আমাদের ইতিহাসে মনে করি মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বের একটি শ্রেষ্ঠ ঘটনা যা ঘটেছে বিশ্ব ইতিহাসে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট মেরিন একাডেমির কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের বিজয় নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিতর্কিত টুইট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন-এটা কেবল নরেন্দ্র মোদি তার মতো করে বলেছেন। এমন মন্তব্যে মুক্তিযোদ্ধারা যারা এখনও বেঁচে আছেন তারাও আহত হয়েছেন বলে মনে করেন সাখাওয়াত।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারত সাহায্য সহযোগিতা করেছে সেটা অস্বীকার করি না, সারাজীবন স্মরণ রাখবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বের ইতিহাসের অন্যতম একটি ঘটনা।
নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রসঙ্গে এই উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যখন বলেছেন সেটা সব উপদেষ্টার কথাই তিনি বলেছেন। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষেই নির্বাচন হবে।
১৬ ডিসেম্বরের বিজয় নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিষয়টি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলতে পারবেন। আমি এখন ব্যক্তিগতভাবে কিছু বলতে পারি না। সাধারণ নগরিক হিসেবে অনেক কিছুই বলতে পারতাম। তবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী তার মতো করে বলেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিশ্ববাসী জানে এটা নতুন কোন বিষয় না। আজ ৫৩ বছর পেরিয়েছে, ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় অর্জন হয়েছে নয় মাসের যুদ্ধে।
তিনি বলেন, আমি শুধু এটা মনে করি এটা আমাদের যুদ্ধ , আমাদের লোকজন প্রাণ হারিয়েছে, আমাদের মা বোনেরা সম্ভ্রম হারিয়েছে এবং নয় মাস আমাদের দেশ বড় ধরনের রক্তপাতের মধ্যে ছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা শহিদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যারা বেঁচে আছেন তারাও এ ধরনের কথায় আহত হবেন।
এদিন বেলা ১১ টায় সিলেট মেরিন একাডেমির মাঠে ক্যাডেটদের গ্রাজুয়েশন প্যারেড এ প্রধান অতিথি হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
এ সময় সিলেট একাডেমিতে নটিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাডেটদের গ্রাজুয়েশন প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিলেট এডাকেমির কোর্স সম্পন্ন করা ৪১ জন সমুদ্র যোদ্ধা অংশ নেন। এ বছর সিলেট একাডেমি থেকে সব বিষয়ে সর্বোচ্চ কৃতিত্বের জন্য কমান্ড্যান্ট স্বর্ণপদক পেয়েছেন মাহমুদুল আলম সায়েম।