সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের 'পৈলনপুর শাহী ঈদগাহ' গেইটে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এক ব্যক্তির একক নাম ফলক বসানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১৬ মে) বালাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যে বলা হয়, স্থানীয় প্রবাসী ও গ্রামবাসীর অর্থায়নে ২০২২ সালে ঈদগাহটির পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০২৪ সালে শেষ হয়। এতে সিলেট জেলা পরিষদ থেকেও প্রায় ২ লাখ টাকার অনুদান আসে। তবে কাজ শেষে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তার চাচাতো ভাই যুক্তরাজ্যপ্রবাসী রানু মিয়ার (ধনাই মিয়া) নাম গেইটে বসান।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে বারবার অনুরোধ করা হলেও চেয়ারম্যান সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। শেষমেশ গত ১২ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়, যাতে ৮০ জনের স্বাক্ষর এবং ২২ জন সাক্ষীর তথ্য রয়েছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যানের নির্দেশে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ঈদগাহে ঈদের জামাত পড়তে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের বাধা দেন, হুমকি প্রদান করেন। ফলে অধিকাংশ মুসল্লি বিকল্পভাবে পৈলনপুর নতুন মসজিদে ঈদের জামাত আদায় করতে বাধ্য হন।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসী একক নাম অপসারণ করে ঈদগাহের ঐতিহ্য ও গণসাধারণের মতামতের প্রতিফলন ঘটানোর দাবি জানান। তারা বলেন, ঈদগাহের ভূমি পৈলনপুর জামে মসজিদ পঞ্চায়েত কমিটির নামে রেজিস্ট্রিভুক্ত, তাই এ ধরনের একক নাম ফলক কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
গ্রামবাসীরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান, বিষয়টি দ্রুত সমাধান করে ঈদগাহের পবিত্রতা ও ঐতিহ্য রক্ষা করা হোক।
সম্মেলনে গ্রামবাসীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন- পৈলনপুর মসজিদে মুতওয়াল্লি মো. আব্দুল হান্নান, শামীম আহমেদ, মো. ছমক আলী প্রমূখ।