✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

দোয়ারাবাজারে চারটি বসত ঘরে আগুন, লুটপাট গ্রেফতার ১


সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে আক্রোশের জেরে ৪ টি বসতঘরে আগুন ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের মৌলারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রফিকুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে মৌলারপাড় গ্রামের রফিক মিয়া ওরফে রফু ও ফজলু মিয়াসহ তাদের আপন ভাই ও ভাতিজার ৪ টি বসতঘরে আগুন ও লুটপাটের তান্ডব চালায় একটি সংঘবদ্ধ দল। এসময় ঘরে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় এবং দুটি মোটরসাইকেল,আসবাবপত্রসহ ধান ও চাল পুড়ে ভস্মীভূত হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের ওপর হামলার চেষ্টা করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে মূলত এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। রফিক মিয়া ওরফে রফু ও ফজলু মিয়ার সাথে একই ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য আল-আমিন ও মৌলারপাড় গ্রামের দিলো মিয়ার পুত্র আল আমিন গংদের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। এ ঘটনার জেরেই এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

রফিক মিয়া ওরফে রফু মিয়া বলেন, চৌধুরীপাড়া গ্রামের মৃত লায়েছ মিয়ার পুত্র আল আমিন মেম্বার, বশির, কামাল উদ্দিন ও আলাউদ্দিনের নেতৃত্ব একদল সংঘবদ্ধ বাহিনী আমাদের বাড়ি-ঘরে হামালা চালিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এবং সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যায়। 
ইউপি সদস্য আল আমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবারের কেউই এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা নেই।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ২০-২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের কাজে বাধা দেয় এবং আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। 

দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, এ ঘটনায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এবং ঘটনার পর পরই রফিকুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।

এই সম্পর্কিত আরো