মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের দলই সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৫ জনকে ‘পুশ ইন’ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বুধবার ভোরে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের আটক করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও ৩ জন শিশু রয়েছে। এর আগে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে খাগড়াছড়ির তিনটি সীমান্ত দিয়ে ৮১ জন এবং কুড়িগ্রামের রৌমারি সীমান্ত দিয়ে ৩০ জনকে পুশ ইন করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা জানান, পাঁচ বছর ধরে তাঁরা ভারতের আসামে বসবাস করছেন। হঠাৎ ভারতীয় পুলিশ তাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়ে হেলিকপ্টারে করে ত্রিপুরার মানিক ভান্ডার এলাকায় নিয়ে এসে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। তাঁদের বাড়ি নড়াইল, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় বলে দাবি করেছেন।
তারা আরও জানান, তাঁদের সঙ্গে আরও অনেকে ছিলেন। এই সংখ্যা তিন শতাধিক হবে। বিএসএফ তাঁদের কয়েক জনকে দলই সীমান্ত দিয়ে গেট খুলে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়। তবে অন্যদের কোন সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে তাঁরা কিছু বলতে পারেননি।
মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত নারী সদস্য বিনা রানী দেব জানান, আটক লোকদের প্রথমে বিজিবি ক্যাম্প থেকে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িতে তোলার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। তবে পরবর্তীতে তাঁদের আর থানায় নেওয়া হয়নি।
মাধবপুর ইউণিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শীব নারায়ন শীল বলেন, বিএসএফ ১৫ জনকে বাংলাদেশে পুশ ইন করেছে। বিজিবি তাঁদের আটক করে নিয়ে গেছে।
এদিকে সীমান্তে অনুপ্রবেশের জন্য অনেক লোক জড়ো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
শ্রীমঙ্গলস্থ ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. জাকারিয়া জানান আটক ব্যক্তিরা সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলছেন। যাচাই-বাছাই করে তাঁদের বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনার পর মৌলভীবাজার জেলার সব সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন মারফতে শুনেছি বিজিবি ১৫ জনকে আটক করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত থানায় হস্তান্তর করেনি।’
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান, এ বিষয়ে কেউ জানায়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।