সিলেটের বিশ্বনাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার (৩ মে) রাতে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দশপাইকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষিত কিশোরী রবিবার (৪ মে) রাতে প্রেমিক মজাহিদ আলীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। একই রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মজাহিদ আলী (৩৫) কে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তিনি দশপাইকা গ্রামের নজিব উল্লাহর ছেলে।
সূত্র জানায়, এক মাস আগে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরী উপজেলার মীরগাঁও গ্রামে নানার বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মজাহিদ আলীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিক তার নাম মজাহিদ আলী থাকলেও কিশোরীর কাছে তিনি নিজেকে জুবায়ের আহমদ বলে পরিচয় দেন। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার এক মাস পর গত শনিবার বিশ্বনাথ পৌর শহরের বাসিয়া ব্রিজের উপর থেকে সিএনজি গাড়িতে করে তারা দুজন ঘোরাঘুরি করেন। পরে সন্ধ্যায় মজাহিদ আলী কিশোরীকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে রাতে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেন।
পরদিন রবিবার (৪ মে) সকালে ধর্ষণকারী মজাহিদ কিশোরীকে তার বাড়ির সামনে রেখে চলে আসেন। পরে পরিবারের চাপে পড়ে কিশোরী ঘটনার কথা খুলে বলেন।
মামলার এজাহারে ধর্ষণকারীর নাম জুবায়ের উল্লেখ থাকলেও পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে তার আসল নাম মজাহিদ আলী এবং অভিযুক্ত মজাহিদ আলীর প্রথম বিবাহে এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী ধর্ষণ মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।