বিয়ানীবাজারে ভাতিজাদের আঘাতে প্রাণ হারালেন আপন চাচা। শনিবার দিবাগত রাত ৮ টার দিকে উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের তাজপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত ৫০ বছর বয়সী বৃদ্ধ একরাম আলীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন তার ভাতিজা কাওছার ও সিএনজি চালক নাজিম আহমদ। আহত অবস্থায় বৃদ্ধকে সিলেট ওসমানি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোরে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন এবং স্থানীয়দের কাছে থেকে ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুই ভাতিজা কাওছার ও নাজিম দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বৃদ্ধ একরাম আলীকে পিঠিয়ে আহত করেন। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে প্রথমে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন স্বজনরা।
নিহত বৃদ্ধ একরাম আলী ও তার ভাই গ্রাম পুলিশ সদস্য সালেহ আহমদের পরিবারের ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রতিবেশি এক নারী আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় ইমরান আহমদকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে দিয়েছেন। তবে তিনি মারামারির সময় ঘটনস্থালে ছিলেন না। অভিযুক্ত কাওছার ও নাজিমের ছোট ভাই হওয়ায় স্থানীয়রা তাকে আটক করেন।
দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। সেই বিরোধের জের ধরেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে মুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ অভিযুক্ত গ্রেফতারের দাবি জানান।
বিয়ানীবাজারের পল্লীতে বৃদ্ধ খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ভাতিজাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি স্থানীয়দের।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ উজ্জামান জানান, মরদেহ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে দাফন করা হবে। হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান পচিালনা করা হচ্ছে।