কুলাউড়া উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলার মামলায় উপজেলার কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মুহিবুল ইসলাম আজাদকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে কুলাউড়া থানার এসআই আব্দুল আলিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
এদিকে রাজনৈতিক মামলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক গুলজার আহমদকে হাজীপুর বাজার চৌমুহনী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ৪ আগষ্ট কুলাউড়া শহরে দা লাঠিসোটা দিয়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের হামলায় অনেক শিক্ষাথী গুরুতর আহত হন। ওই ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়। তন্মধ্যে ২৪ আগস্ট পারভেজ আহমদ নামের এক ব্যক্তির দায়ের করা বিস্ফোরক মামলার অন্যতম এজাহার নামীয় আসামী ছিলেন কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ। মামলা হওয়ার পর তিনি পলাতক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর কুলাউড়ায় বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। একটি মামলার আসামী ছিলেন কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ। মামলার আসামী থাকার পরও চেয়ারম্যান আজাদ এলাকায় দিব্যি ঘুরিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। প্রতিদিন তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরব থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পোস্ট করতেন। তাকে আটক না করায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয় এবং পুলিশের প্রতি সাধারন জনগণের বিরুপ ধারণা তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু পুলিশের দাবি, কর্মধা এলাকায় একাধিকবার অভিযান চালিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। চেয়ারম্যান আজাদ খুবই চতুর লোক ছিল। তাকে ধরতে তাদের অভিযান অব্যাহত ছিল। অবশেষে তাকে আটক করা হয়েছে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম আপছার বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার মামলায় এজাহার নামীয় আসামী কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান আজাদকে আটক করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মামলায় হাজীপুরের ইউপি সদস্য গুলজারকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।