ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে চা-এর রাজধানী শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা। চলতি বছরের নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে এখানে। কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। সন্ধ্যা নামলেই এখানে ফিরে আসছে শীতের আমেজ। রাত যত গভীর হয় শীত টিনের চালে বা জানালার কার্নিশে তার প্রগাঢ় উপস্থিতির জানায় দেয়।
সকালে এবং রাতে শীতের উপলব্ধি বেশি থাকলেও দিনের মধ্যাহ্নভাগে গরম কিছুটা অনুভূত হচ্ছে। তবে বিকেল এবং সন্ধ্যা আসার সাথে সাথে গরম উধাও হয়ে কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে এই প্রত্যন্ত চা জনপদের চারদিক।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সিলেট শহরে শনিবারের নিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মৌলভীবাজার জেলায় শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত জেলার একমাত্র আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার এর আবহাওয়া সহকারী মো. আনিসুর রহমান বলেন, শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে। এটিই আজকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এখন থেকে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে তাপমাত্রা। তখন শীত বেশি অনুভূত হবে।
তিনি আরো বলেন, গত বছর নভেম্বরে যে টেম্পারেচার ছিল এ বছরও প্রায় এর কাছাকাছি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চলছে শ্রীমঙ্গলে। গত বছর ২০ নভেম্বরের দিকে টেম্পারেচার একটু বেশি ছিল, এ বছর একটু কম। ১৭ বা ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসই ছিল। গত বছর ২৬ নভেম্বর ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। এবার তো দেখা যাচ্ছে যে ২৩ তারিখেই ১৪ তে নেমে এসেছে। গত বছরের সাথে তুলনা করলে মনে হচ্ছে টেম্পারেচার দ্রুত নামছে এবং আগামী কয়েকদিনে আরো নামবে।
সিলেট বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শীত শ্রীমঙ্গলেই রেকর্ড করা হয়। প্রকৃতি ও পরিবেশগত কারণে শ্রীমঙ্গলে ঠান্ডা সিলেটের অন্যান্য জায়গার তুলনায় বেশি বলে জানান এই আবহাওয়া সহকারী।