দখলদার ইসরাইলি বাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বর হামলার প্রতিবাদে বিয়ানীবাজার পৌরশহরে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে। সোমবার বাদ জোহর বের হওয়া পৃথক মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
উপজেলা জামায়াতে ইসলামি আয়োজিত মিছিলে অংশ নেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ফয়জুল ইসলাম, নায়েবে আমীর আবুল খায়ের, সেক্রেটারী কাজী আবুল কাশেম, পৌর আমীর কাজী জমির হোসাইন, উপজেলা সহ-সেক্রেটারী রুকন উদ্দিন ও জামায়াত নেতা ফয়জুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সহ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।
এ সময় জামায়াতের দায়িত্বশীলরা জানান, গাজায় ইসরায়েলের এই হামলাগুলো বিশ্বে অস্থিতিশীলতা বয়ে আনতে পারে। নেতানিয়াহুর সরকার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে মানবতাকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়েছে। এ হামলা প্রমাণ করে, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল আবারও গাজার নিরপরাধ মানুষের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে। যারা আগে থেকেই সহায়-সম্বল ও স্বজন হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। আজ আবারও বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েল তাদের দুঃখ-দুর্দশাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে।’ইতিহাস দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলকে ক্ষমা করবে না। আমরা সবসময় ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো।
ছাত্র জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, গাজাবাসী আজ অসহায়। তাদের পাশে বিশ্ববাসীকে দাড়াতে হবে। ইসরাইলের সব ধরনের পণ্য ব্যবহার বয়কট করতে হবে।
এদিকে জমিয়তের মিছিলে অংশ নেন উপজেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল হক কাসেমী, হেফাজতের উপজেলা আমীর মাওলানা মুফতি আব্দুল ক্বারীম হাক্কানী আল হানাফী, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আলম মামুন, পৌর জমিয়তের সভাতি মাওলানা মুজিবুর রহমান, হাফিজ রুহুল আমীন খান, মাওলানা আব্দুল হামীদ খান, এড. মাওলানা হাবীবুর রহমান, হাফিজ আব্দুল্লাহ, ছাত্র জমিয়তের সভাপতি জাহিদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অলিউর রহমান সহ আলো অনেকে।
বিয়ানীবাজার পৌরশহরে থাকা সাধারণ মানুষও এসব বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে গাজাবাসীর প্রতি ইসরাইলি হামলার প্রতিবা জানিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।