রোগীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিয়ময় করতে ঈদের দিন সদর হাসপাতালে যান বানিয়াচং উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মো:খালেদ মিয়া।
সোমবার ঈদুল ফিতরের দিন দুপুরে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে হাসপাতালে যান তিনি। কথা বলেন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের সাথে। এসময় রোগীদের স্বাস্থ্যের ও চিকিৎসার খোজ খবর নেন তিনি।
এসময় সাথে ছিলেন বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মহিবুর রহমান বাবলু, ৩নং ইউনিয়ন বিএনপি সাধারন সম্পাদক শরীফ উদ্দিন, ৪নং ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কামুরুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা ফারদীন আখঞ্জি, শান্ত,অন্ত প্রমুখ।
এসময় হাসপাতালের ডিউটিরত চিকিৎসকদের কাছ থেকে ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা বিষয়ক যাবতীয় খবরও নেন তিনি। ঈদের দিন রোগীরা নেতাকে কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। রোগীদের মধ্যে কেউ কেউ চিকিৎসা সেবা ও খাবারের মান নিয়ে অসন্তোস প্রকাশ করেন। ঈদের দিন অন্তত একটু ভালো খাবারের প্রত্যাশা ছিলো রোগীদেরে। উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক রোগীদের আশ্বস্ত করে বলেন আগামীতে বিএনপি ভোটে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে উপজেলা ভিত্তিক হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করবে ।
এই প্রতিবেদকও ঈদের দিন হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে কথা হয় রোগীদের সাথে। শ্বাষকষ্ট নিয়ে চারদিন আগে ভর্তি হন বানেশ্বর মহল্লার নবী হোসেনের সাথে। তিনি বলেন ভর্তি হওয়ার পরে স্যালাইন সহ অন্যান্য ওষুদ বাহির থেকে কিনে আনতে হয়। আর খাবারের মান নিয়ে কি বলবো। ঈদের দিন দুপুরে একটু ভালো খাবারের প্রত্যাশা ছিলো।কিন্তু তাও হয়নি।মোটা চালের সাদা ভাত আর এক টুকরা পোল্ট্রি মুরগীর মাংস দেয়া হয়।
মিয়াখানী মহল্লার বজলু খাঁন ভর্তি হয়েছেন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে।চিকিৎসার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন সকালে আর রাতে ডাক্তাররা এসে দেখেন।একেকদিন একেক ডাক্তার এসে ওষুদ পরিবর্তন করেন।খাবারের মান নিয়ে অসন্তোস করে বলেন ঈদের দিন দিয়েছে মোটা চালের ভাত আর একটু টুকরো পোল্ট্রি মুরগীর মাংস।আর খাবারের মান এতো খারাপ মুখেও দেয়া যায়না।বাড়ী থেকে আনা খাবার খাইতে হয়।
শিশু ওয়ার্ডে বাচ্ছা নিয়ে ভর্তি আছেন পশ্চিমবাগের নাদিয়া আক্তার। চিকিৎসা বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা আল্লাহ ভরসা। নার্ষ ছাড়া ডাক্তার পাওয়া ভাগ্য। ওষুদ সব বাহির থেকে কিনে আনতে হয়। ঈদের দিনে দুপুরে খাবার দিয়েছে মোটা চালের ভাত আর পোর্ট্রি মুরগীর মাংস।
কর্তব্যরত নার্স চৈতি আচার্য়্য জানান আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। তারপরও আমরা সর্বোচ্ছ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি।
খাবারের বিষয়ে জানতে চাইলে নার্স সুপার ভাইজার অরুনা আচার্য়্য বলেন খাবার সরবরাহ করে ঠিকাদার।
বানিয়াচং উপজেলা হাসপাতালের টিএইচও ডাক্তার শামীম খাতুনের ফোনে য়োগায়োগের চেষ্টা করে ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।