সিলেট নগরীর নাইওরপুল এলাকার সিলেট ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল লিমিটেডে সেবা নিতে আসা রোগীর অটোরিকশাচালক মানিক আহমদকে (২৬) মারধর করে গুরুত্বর আহত করেছেন হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা। এই ঘটনায় উল্টে পড়ে গিয়ে আবদুল মুমিন (২৬) নামের হাসপাতালের এক নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত ১২টার দিকে হাসপাতালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট নগরীর নাইওরপুল এলাকার সিলেট ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল লিমিটেডে সেবাপ্রত্যাশী রোগী নিয়ে আসেন অটোরিকশাচালক মানিক আহমদ (২৬)। এসময় হাসপাতালের দ্বয়িত্বরত নিরাপত্তকর্মীরা মানিক আহমদকে সিএনজি অটোরিকশা সড়াতে বলেন। তখন মানিক আমহদ বলেন আগে রোগী নামিয়ে দেই তারপর অটোরিকশা নিয়ে চলে যাবে। এইরকম বাগবিতণ্ডা চলার একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মী আবদুল মুমিন ও তার সহযোগীরা লাঠিসোঠা নিয়ে অটোরিকশাচালক মানিক আহমদের উপর হামলা চালান। মানকিকে পাকা সড়কের ফেলে বুকে ও পিঠে অনবরত আঘাত করতে থাকেন। এতে মানিকের বুক, পিঠ ও শরীরের বিভন্ন স্থান মারত্মাকভাবে জখম হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন মানকিকে হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের হাত থেকে রক্ষা করতে গেলে আবদুল মুমিন নামের হাসপাতালের এক নিরাপত্তকর্মী উল্টে গিয়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। তবে নিরাপত্তাকর্মী আবদুল মুমিনকে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করলেও গুরুতর আহত অটোরিকশাচালক মানিক মিয়াকে চিকিৎসা প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা অটোরিকশাচালককে চিকিৎসা প্রদানের অনুরোধ করলেও তাদের অনুরোধে সাড়া দেননি কর্তৃপক্ষ। অবশেষে অটোরিকশাচালক মানিক মিয়াকে পথচারীরা গুরুতর আহত অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এই ঘটনায় সোবহানীঘাট ফাঁড়ির এসআই মাছুমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা এক রোগীর আত্মীয় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সেবা নিতে এসে যদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হামলার শিকার হতে হয় তাহলে কোথায় যাব। হাসপাতালের নিরাপত্তকর্মীরা সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করছে ও অটোরিকশাচালকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করছে। আমরা অভিলম্বে হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপক (কাস্টমার কেয়ার) সুমন আহমদ জানান, সিএনজি অটোরিকশাচালাক মানিক আহমদ আমাদের হাসপাতালে রোগী নিয়ে এসেছিলেন। তিনি আমাদের নিরাপত্তকর্মীর গায়ে হাত দেওয়ায় সকল নিরাপত্তাকর্মী গিয়ে প্রতিহত করেছেন। এতে অটোরিকশাচালক আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে সোবহানীঘাট ফাঁড়ির এসআই মাছুমের নিকট গণমাধ্যম কর্মীরা বক্তব্য চাইলে তিনি কৌশলে পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হকের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।