বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

নবীগঞ্জে থান কাপড় ব্যবসায়ীদের মন্দাভাব

নবীগঞ্জে থান কাপড় ব্যবসায়ীদের মন্দাভাব। জমে উঠেনি এখনও ব্যবসা। কয়েক দিন পরেই ঈদুল ফিতর। ঈদকে ঘিরে পোশাক ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। রমজানের আগ থেকেই প্রস্তুতি থাকে থানকাপড় ও থ্রিপিস ব্যবসায়ীদের। তবে এবারের ঈদে থানকাপড়ের দোকানগুলোর বেশির ভাগই ক্রেতাশূন্য। ফলে ক্রেতার অপেক্ষায় অলস সময় পার করছেন বেশির ভাগ ব্যবসায়ী। তাদের দাবি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব পড়েছে ঈদ বাজারেও। যেসব ক্রেতা আসছেন তারাও কিনছেন প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে কাপড়ের দোকানগুলোতে নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। তবে দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কাপড় দেখে, দরদাম করে না কিনেই চলে যাচ্ছেন। এতে হতাশ ব্যবসায়ীরা। আশানুরূপ কেনাবেচা হচ্ছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা। 
নবীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর ঈদকে সামনে রেখে অন্যবারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি কাপড় দোকানে তুলেছেন তারা। বিশেষ করে থান কাপড়ের ব্যবসায়ীরা রমজানের আগেই বেশি করে কাপড় কিনেছেন। কারণ অন্যান্য কাপড়ের তুলনায় থান কাপড় আগে বিক্রি হয়। কিন্তু এবার বাজারে ক্রেতা কম। ঈদ মৌসুমে যদি থান কাপড় বিক্রি না হয় তবে পরবর্তী সময়ে বিক্রি করা কষ্টকর হয়ে যায়। ১ রমজান থেকে ২০ রমজান এই সময়টায় বেশি কাপড় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও ২৭ রমজান চলে গেলেও এবার প্রত্যাশিত বিক্রি হচ্ছে না। সন্তোষজনক কেনাবেচা না হওয়ায় হতাশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি থান কাপড়ের ব্যবসায়ীরা।

তবে ক্রেতারা জানান, নিত্যপণ্যের অধিক দামের ফলে বেশির ভাগ মানুষ অর্থসংকটে রয়েছেন, পাশাপাশি কাপড়ের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া থান কাপড় কিনে পোশাক তৈরিতে সময় ও সেলাই খরচ বেশি হয়ে থাকে। তাই অনেকেই রেডিমেট পোশাক কেনার কথা ভাবছেন।

শহরের পশ্চিমবাজার এলাকার একটি শপিংমলের কর্মচারী আলাউর রহমান বলেন, ‘সব জিনিসের দাম বেড়েছে। কিন্তু ক্রেতাদের বাজেট তো আর বাড়েনি। তাই কেনাবেচা কম হচ্ছে। আমাদের বাড়তি দাম দিয়ে থান কাপড় কিনতে হয়। গত রমজান থেকে এবার দেশি কাপড়ে গজপ্রতি প্রায় ১০ টাকা ও বিদেশি কাপড়ে ৪০ টাকা বেড়েছে। সব খরচ মিলিয়ে আমাদের পোশাকের দাম বাড়াতে হচ্ছে।’

শহরের মধ্যে থান কাপড়সহ অন্য কাপড়ের ছোট ও মাঝারি দুটি দোকান আছে কাওসার আহমদের। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতা পাচ্ছি না। সব মিলিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় আছি।’

এই সম্পর্কিত আরো