✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

বিশ্বনাথে এবার চোর সন্দেহে যুবকের চোখ উপড়ে দিয়েছে জনতা, গ্রেফতার ৫

সিলেটের বিশ্বনাথে চোর সন্দেহে শিশু নির্যাতনের পর এবার মসজিদের ইমামের মোবাইল চুরি সন্দেহে যুবকের উপর অমানবিক নির্যাতন করে চোখ উপড়ে ও ডান পা ভেঙ্গে দিয়েছে গ্রামের লোকজন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের রাজাগঞ্জ বাজারের পাশে সরকারি গুচ্ছ গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

ওইদিন রাতে গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারি মৃত সাজিদ আলীর ছেলে আব্দুল আহাদ (৪০) কে চোর সন্দেহে তার বসত ঘরে প্রবেশ করে মারধরের মাধ্যমে ডানের চোখ উপড়ে ও ডান পা ভেঙ্গে দেয় স্থানীয় জনতা। এছাড়াও তার বসতঘর ভাংচুর করে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। মারধরের পর তাকে একই উপজেলার রহিমপুর গ্রামের কয়েছ মিয়ার বাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে রাতে কয়েছ মিয়ার বসত ঘর থকে গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল আহাদকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। এঘটনায় আজ বুধবার আহত আব্দুল আহাদের স্ত্রী রহিমা বেগম (৩০) বাদী হয়ে ৭জনের নামে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-(১৩)।

মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে রাখা হয়েছে আরও ২০/৩০জনকে। ওই মামলায় পুলিশ ৫জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। আটককৃতরা হলেন-একই ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে শাহান শাহ (২৫), আতিকুর রহমানের ছেলে শফিউর রহমান (২৩), মৃত আব্দুস ছালামের ছেলে ইমরান মিয়া (২৬), মৃত ধন মিয়ার ছেলে মিলাদ উদ্দিন (২৩) ও মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মারুফুল ইসলাম (২১)।

মামলায় আব্দুল আহাদের স্ত্রী রহিমা বেগম উল্লেখ করেন, গত ১৫ মার্চ রাতে রহিমপুর গ্রামের মাইজলামাল জামে মসজিদের ইমামের মোবাইল ফোন চুরির হয়। এরই জের ধরে আব্দুল আহাদকে চোর সন্দেহ করে সরকারি গুচ্ছগ্রামস্থ তার বসত ঘর থেকে মারধর করে তুলে নেয়া হয় রহিমপুর গ্রামের কয়েছ মিয়ার বাড়িতে। আর সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে বিগত ২০২৩ সালে তার বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা হয়েছে। জিআর মামলা নং-২৭। মামলাটি আদালতে বিচারাধিন রয়েছে বলে এসআই পান্না লাল জানান।

এ ব্যাপারে কথা হলে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী কে বলেন, এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।

এই সম্পর্কিত আরো