সরকারের রাজস্ব বঞ্চিত করে সুনামগঞ্জের লাউড়েরগড়-বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক ও তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে বেড়েছে চোরাকারবারি দৌড়ত্ব।
এই সড়ক পথে প্রতিদিন দিনে ও রাতে ট্রলি,ট্রাকে করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পাথর,বালু,কয়লা,চিনি,ফুসকা ও ভারতীয় বিভিন্ন ব্যান্ডের মাদক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠাচ্ছে একটি চোরাচালানী চক্র অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে একাধিক বার কিন্তু ঐসব চোরাকারবারিরা দৌড়ত্ব কোনো ভাবেই থামছে না।
এই সড়কে বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি ও ঐসব চোরাকারবারি,কয়লা,বালু খেকোদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করার দাবী জানান জেলার সচেতন মহল।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,উপজেলার লাউড়েরগড় বাজার ও বাজার ঘেঁষে যাদুকাটা নদী থেকে প্রতিদিন ৮-১০ ট্রাকে লাখ লাখ টাকার কয়লা,পাথর ও বালু পাচার করছে একটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে। কোনো দিন আরও বেশি।এছাড়াও উপজেলার যাদুকাটা নদী,দশঘর,চানঁপুর,লালঘাট,চারাগাও,লাকমা,কলাগাও, জঙ্গলবাড়ি,বাগলীসহ ২০টি পয়েন্ট দিয়ে এলাকার চিহ্নিত চোরাচালানীরা চোরাই পথে অবৈধভাবে ভারত থেকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকার চিনি,ফুসকা, কয়লা ও ভারতীয় বিভিন্ন ব্যান্ডের মাদক বাংলাদেশ এনে নদী পথে পাচার করছে মধ্যনগর,কলমাকান্দা উপজেলায় ও লাউড়েরগর সুনামগঞ্জ সড়ক পথে। এরই একটি অংশ তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে নৌকায় বোঝায় করে এনে বালিজুড়ী ইউনিয়নের আনোয়ারপুর বাজারের দক্ষিণ দিকে গোদাম ঘর সড়ক এলাকা থেকে পাচার করছে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সড়ক পথে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দীর্ঘদিন ধরে।
এছাড়াও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মাছিমপুর, জিগাতলা,চিনাকান্দি,গামাইতলা,সালুকাবাদসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ভারত থেকে চোরাই পথে আসা চিনি,ফুসকা,মাদক পাচার করছে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের চিহিত চোরাচালানীরা।
পাচার করা প্রতি ট্রাক থেকে ইসব এলাকার স্থানীয় চাঁদাবাজ চক্র ৪-৫ হাজার টাকা চাঁদা উত্তোলন করছে বলে একাধিক সুত্রে জানাগেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,দিনে যেমন তেমনি রাতে পাল্টে যায় এখানকার দৃশ্য। যেন শিল্পনগরীর মত কয়লা চোরাই পণ্যবাহী গাড়ি দাপিয়ে বেড়ায় সড়কে। আর নদীর পাড়েই কয়লার ডিপু করে রাখলেও সংঘবদ্ধরা চোরাচালানীরা এবার নৌকা থেকে সরাসরি ট্রাকে তুলে পাচার করে দিচ্ছে সড়ক পথে লাউড়েরগর-ধনপুর-পলাশ-সুনামগঞ্জ,তাহিরপুর বিশ্বম্ভরপুর সুনামগঞ্জ সড়ক দিয়ে। এই বিষয়টি বর্তমানে ওপেন সিক্রেট হলেও কেউ যেন এর দায় নিচ্ছে না। আর কোনো ভাবেই থামছেই না এই চোরাচালানের এই কর্যক্রম। ঐসব চোরাচালানীদের কারনে সরকারও কোটি কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দাগন বলেন,এই চোরাচালানী সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজ চক্র খুবেই শক্তিশালী। ভয়ে আমরা কিছু বলি না। তবে এভাবে চলতে থাকলে অপরাধীরা দিন দিন মাথাচড়া দিয়ে উঠবে সেই সাথে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে। উঠতি বয়সী যুবকরা মাদকাশক্ত হচ্ছে।
এই বিষয়ে তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোখলেছুর রহমান জানান,এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো ছাড় দেয়া হবে না।