✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাদাবাজি ও মারধরের অভিযোগ

সিলেট নগরীর ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারন সম্পাদক বেলাল হোসেন (৫০), নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক মাহবুব হোসেন (২০), ১৩নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সদস্য ওয়াহিদুর রহমান অভি (১৯), সারোয়ার মিয়া (২১), সিলেট মহানগর যুবদল নেতা ইঞ্জামামুল হকসহ (৩৫) অজ্ঞাতনামা আরও ৩০/৩৫ জনের বিরুদ্ধে চাদাবাজির অভিযোগ ওঠেছে। 

বৃহস্পতিবার নগরীর কোতোয়ালী মডেল থানাধীন তালতলা এলাকায় (বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশে) সাকিব টাওয়ারের ৩য় এবং ৪র্থ তলায় সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে চাদাবাজির অভিযোগে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানাধীন প্রমতেশ ধর'র ছেলে প্রনব ধর (২৯) এই অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানাধীন প্রমতেশ ধর'র ছেলে প্রনব ধর (২৯)-এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নগরীর কোতোয়ালী মডেল থানাধীন তালতলা এলাকায় (বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশে) সাকিব টাওয়ারের ৩য় এবং ৪র্থ তলায়  ‘জেরন গ্রুপ’-এ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার দিকে অভিযুক্ত ১নং বিবাদীর নেতৃত্বে ১-৫নং বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমার তালতলা অফিসে গিয়া আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরন করতঃ উক্ত এলাকায় ব্যবসা করিতে হইতে তাহাদেরকে ১০,০০,০০০/-(দশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবি হবে বলিয়া হুমকি দেয়। আমরা কোন চাঁদা দিতে পারিবোনা বলিলে বিবাদীরা আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং চাঁদার টাকা ছাড়া ব্যবসা করিতে দিবে না বলিয়া হুমকি দিয়া চলিয়া যায়। এমতাবস্থায় ঘটনার তারিখ ১৩/০৩/২০২৫ইং বিকাল অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার সময় ১নং বিবাদীর নির্দেশে অন্যান্য বিবাদীরা দর্শন দেউড়ীস্থ আমার অফিসে গিয়া আমার খোঁজ করে। কিন্তু আমি অফিসে না থাকায় কর্মচারীদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে সন্ধ্যা অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত ১নং বিবাদীর নেতৃত্বে ১-৫নং বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা প্রায় ৩০/৩৫ জন বিবাদী দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র ধারালো দা, রামদা, লোহার পাইপ, জিআই পাইপ, কাঠের রোল ইত্যাদি নিয়া বে-আইনি জনতাবন্ধে অনধিকার তালতলাস্থ আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করিয়া কর্মচারীদেরকে গালিগালাজ করিতে থাকে এবং আমার খোঁজ করে। কিন্তু আমাকে অফিসে না পাওয়ায় বিবাদীরা আমার অফিসের কর্মচারীদের নিকট তাহাদের পূর্বের দাবিকৃত ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা চায়। কর্মচারীরা প্রতিবাদ করায় সমূহ বিবাদীরা আমার কর্মচারীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ঐ সময় বিবাদীরা তাহাদেরকে এলোপাতাড়ী চড়, থাপ্পর, কিল, ঘুষি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে এবং ২ ও ৩নং বিবাদীদের হাতে থাকা লোহার রড, জিআই পাইপ দিয়া কর্মচারী সাকিল আহমদ (৩০) এর হাত পা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করিয়া মারাত্মক জখম করে। একপর্যায়ে বিবাদীগণ তাহাদের হাতে থাকা অস্ত্র সস্ত্র দিয়া আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সকল আসবাবপত্র, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, সিসি ক্যামেরা ইত্যাদি ভাংচুর করিয়া প্রায় ৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ) টাকার ক্ষতি সাধন করে। ঐ সময় বিবাদীরা আমার অফিসের ক্যাশ বাক্সে থাকা কাষ্টমারের দেওয়া নগদ ৩০,০০,০০০/- (তিশ লক্ষ টাকা) টাকা, বিভিন্ন কাষ্টমারের দেওয়া এবং আমার স্বাক্ষরীতে চেকের কয়েকটি পাতা সহ বিদেশ গমনের জরুরী অনেক কাগজপত্র, পাসপোর্ট, ভিসা ইত্যাদি নিয়া নেয়। যাওয়ার সময় বিবাদীগন তাহাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দ্বারা ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ১। পারভেজ, ২। মুন্না, ৩। মাছুম দেরকে অপহরন করিয়া নিয়া যায় এবং তাহাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে তাহাদেরকে প্রাণে হত্যা করিয়া ফেলবে বলিয়া হুমকি দিয়া চলিয়া যায়। সংবাদ পাইয়া আমি দ্রুত আমার ছোট ভাইয়ের প্রাইভেটকার গাড়ী নং- ঢাকা মেট্রো-গ-২১-৮৩৫৬ নিয়া ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে আমার অফিসের সামনে পৌঁছাইলে বিবাদীরা আমার গাড়ীটির সামনের বিভিন্ন অংশ ভাংচুর করিয়া প্রায় ৮০,০০০/- (আশি হাজার) টাকার ক্ষতি সাধন করে। আমি প্রাণের ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যাই। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠান গিয়া প্রতিষ্টানটি ভাংচুর করা দেখতে পাই এবং জখমী সাকিল আহমদ সহ অন্যান্য কর্মচারীদের নিকট হইতে ঘটনার বিস্তারিত জানিতে পারি। পরবর্তীতে সাকিল আহমদকে আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাহাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে। ঘটনার বিষয়টি আশপাশের লোকজনসহ অপহরন হওয়া আমার কর্মচারীদের উদ্ধারের চেষ্টা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।

এই বিষয়ে নগরীর কোতোয়ালী মডের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, বুধবারের ঘটনায় দুই পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা যাচাই-বাছাই করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।

এই সম্পর্কিত আরো