বালাগঞ্জে কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং তাদের বিশ্রাম ও সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে প্রয়াত হাজী শেখ মো. আব্দুল জব্বারের স্মরণে "কৃষক ছাউনি" ভিত্তিপ্রস্ত স্থাপনের উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে উপজেলার দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের হাউনিয়ার হাওরে নিজস্ব ভূমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ছাউনির স্থাপন কাজের সূচনা করা হয়।
কৃষকদের কল্যাণে এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী সমাজসেবী ও আসন্ন দেওয়ানবাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ মো. নূরে আজম। তাঁর পক্ষ থেকে নিজ পিতার স্মৃতি স্মরণে এই প্রকল্পের সার্বিক তদারকি ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তাঁর চাচাতো ভাই শেখ মো. মুজাহিদুল ইসলাম।
জানাগেছে, হাওরের বিস্তীর্ণ মাঠে বছরের পর বছর ফসল ফলিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা কৃষকদের জন্য বর্ষা, তীব্র রোদ কিংবা ঝড়-বৃষ্টির সময় একটু বিশ্রামের জায়গা ছিল না। এই "কৃষক ছাউনি" কাজ বাস্তবায়ন হলে তাদের সেই প্রয়োজন মেটাবে।
হাওরে কাজ করতে এসে কৃষকরা এখানে বিশ্রাম নিতে পারবেন, খাওয়া-দাওয়া করতে পারবেন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পাবেন। এটি শুধু একটি ছাউনি নয়, বরং কৃষকদের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতার প্রতীক হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মোনাজাতের মাধ্যমে এ মহতি কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় বড়জমাত জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা মোশারফ হোসাইন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-বালাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জিল্লুর রহমান, বর্তমান সহ-সভাপতি শাহ মো. হেলাল, কৃষক আনছার আলী, আব্দুল আজিজ, যুবনেতা শেখ মুজাহিদুল ইসলাম, লিটন আহমদ, এমরান আহমদ বিজয়, রাজু মিয়া প্রমূখ।
উপস্থিত কৃষক ও স্থানীয়রা এই মানবিক উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা বলেন, হাওরে কাজ করতে এসে বৃষ্টি কিংবা প্রচণ্ড রোদে কৃষকদের খুব কষ্ট হতো। ছাউনি হলে এখানে কৃষকরা একটু স্বস্তি পাবেন। শেখ মো. নূরে আজমের এই মানবিক কাজের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এই উদ্যোগের প্রসঙ্গে শেখ মো. নূরে আজম বলেন, সম্মানিত কৃষকরা আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। তাদের কল্যাণে কাজ করা আমাদের দায়িত্ব। এই কৃষক ছাউনি আমাদের প্রথম পদক্ষেপ, ভবিষ্যতে কৃষকদের জন্য আরও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই ইনশাআল্লাহ।