নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসী গ্রামে জমিজমা নিয়ে পুর্ব বিরোধের ধরে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১০ জন। এরমধ্যে গুরুতর আহত ৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে তারা মিয়ার অবস্থা আশংখ্যা জনক বলে পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (৩রা ফেব্রুয়ারি) দুপুরে।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর (পশ্চিম) ইউনিয়নের বাউসী গ্রামের আব্দুল বারিকের ছেলে তারা মিয়া এবং একই গ্রামের কালঅ মিয়া, আবেদ আলী ও বানিয়াচংয়ের দৌলতপুর গ্রামের আজমান মিয়া, মিলন মিয়া, তাহের মিয়াগংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। গত ৩রা ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে বাউসী গ্রামের তারা মিয়া দৌলতপুরের চকবাজার যাওয়ার পথে পুর্ব বিরোধের জেরধরে আজমান মিয়া, মিলন মিয়া, কালা মিয়া, আবেদ আলী ও তাহের মিয়ার নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একদল লোক হাতে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা মিয়ার উপর হামলা করে কুপিয়ে রক্তাক্ত¦ জখম করে। এ খবর তারা মিয়ার বাড়িতে পৌছলে তার স্বজনরা তারা মিয়াকে বাচাঁতে এগিয়ে গেলে উভয়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধেঁ। এতে কমপক্ষে ১০ জন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে গুরুতর আহত তারা মিয়া (৫০), বরকত উল্লা (৪৫), মহমেদ উল্লা (৪২), আতাউর রহমান (৪০)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। আহত রাবেয়া বেগমসহ বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে গুরুতর আহত তারা মিয়ার অবস্থা শংকাটপন্ন হওয়ায় আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে। এদিকে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ার আহতদের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন বলে আহত তারা মিয়ার স্ত্রী আহত রাবেয়া বেগম জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্ততি চলছে। একই লোকজন রবিবার (২রা ফেব্রুয়ারি) বিকালে হাওরে যাওয়ার পথে বাউসী গ্রামের আনু মিয়ার ছেলে জালাল মিয়া (৩০)কে বেদরক মারপিট করে হাড়ভাঙ্গা জখম করে। আহত জালাল মিয়াও সিলেট ওসমানী হাসাপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ব্যাপারে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।