মায়ের জানাজার জন্য ৩ ঘণ্টা প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা যুবলীগের সাবেক নেতা আব্দুল কাদির। আজ শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে পুলিশি পাহারায় মায়ের জানাজায় অংশ নেন। পরে জানাজা শেষে তাঁকে আবার কারাগারে নেওয়া হয়।
কারাগারের জেল সুপার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদিরের মা ছমিরুন নেছা শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে মারা যান। শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখতে ও জানাজায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে পরিবারের পক্ষ থেকে প্যারোলে মুক্তি চেয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল আহমদে আজ শনিবার বেলা আড়াইটা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেন। মুক্তির পর কাদির পুলিশি প্রহরায় নিজের বাড়িতে যান। বাড়িতে প্রবেশের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বিকেল সাড়ে ৪টায় তালিমপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে মায়ের জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে তাঁকে পুলিশি পাহারায় কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে ৩০ নভেম্বর বড়লেখা শহরের নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে করা মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে কাদিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি উপজেলার তালিমপুর গ্রামের মৃত আসাব উদ্দিনের ছেলে।
কাদিরের ছেলে মাহি হাসান নিলয় বলেন, ‘আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে একটি মিথ্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন। আমার দাদি শুক্রবার সন্ধ্যায় মারা গেছেন। দাদিকে শেষবারের মতো দেখতে এবং জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য প্যারোলে মুক্তি চেয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের মহোদয়ের কাছে আমি নিজে আবেদন করেছিলাম। পরে আদালতের নির্দেশে বাবাকে তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। জানাজা শেষে তাকে আবার কারাগারে নেওয়া হয়েছে।’
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল কাইয়ূম বলেন, যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদির তাঁর মায়ের জানাজায় অংশ নিতে আদালতের নির্দেশে কয়েক ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান। জানাজা শেষে পুলিশ প্রহরায় তাঁকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।