গহরপুর এসোসিয়েশন ইন ফ্রান্স-এর সহ সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল জলিল দীর্ঘ ১৬বছরের অধিক সময়ের পর সংক্ষিপ্ত সফরে বাংলাদেশে ফিরেছেন। প্রিয় মাতৃভূমিতে তাঁর ফিরে আসার খবর শুনে পরিবার, স্বজন ও বন্ধু মহলের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের সিরাজপুর গ্রামের এই কৃতি সন্তানকে স্বাগত জানাতে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় জমান পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীরা। দেশে ফিরেই তিনি ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন। দীর্ঘদিন পর প্রিয়জনদের কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
এরপর এক সংক্ষিপ্ত সংবর্ধনা শেষে তিনি নিজ গ্রাম সিরাজপুরের উদ্দেশে রওনা হন। রাত প্রায় ১১টার দিকে বাড়িতে পৌঁছানোর পর সেখানে এক আবেগঘন দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। ছোট-বড়, আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। দীর্ঘ প্রায় দেড়যুগ পর বাড়িতে ফিরে সবার সঙ্গে দেখা হওয়ার অনুভূতি ছিল সত্যিই হৃদয়স্পর্শী।
আলাপকালে তিনি তাঁর প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের মাটিতে ফিরে আপনজনদের সাথে সরাসরি দেখার অনুভূতি অসাধারণ। এতো ভালোবাসা পাওয়া সত্যিই আমার জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। এসময় প্রবাস জীবনে কষ্ট এবং সফলতা বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন আরও বলেন, জীবনে মানুষকে কখনো ব্যবহার করিনি, ভালবাসা দিয়েছি।
জানাগেছে, প্রবাস জীবনে আব্দুল জলিল প্রথমে দুবাই এবং পরে ফ্রান্সে বসবাস শুরু করেন। সেখানেই তিনি একজন সফল ব্যবসায়য়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। কর্মজীবনের ব্যস্ততার মাঝেও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন এবং দেশের প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসা বরাবরই অটুট ছিল।
তবে, এবারের সফর খুব বেশি দীর্ঘ নয়। স্বল্প সময়ের জন্য দেশে এলেও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে, আপনজনদের সান্নিধ্য উপভোগ করে আবার ফিরে যাবেন কর্মস্থলে। তবুও, তাঁর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রিয়জন ও শুভানুধ্যায়ীদের জন্য এক আনন্দের উপলক্ষ হয়ে থাকবে।