এবার গাজার পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। যুদ্ধে আহতদের চিকিৎসা এবং গাজার শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় জাপান নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান তিনি।
কিয়োডো নিউজ এজেন্সির বরাতে আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা বলেছেন, তার সরকার গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের জাপানে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে।
ইশিবা সংসদীয় অধিবেশনে বলেন, গাজায় অসুস্থ বা আহত ব্যক্তিদের জাপানে আনার উপায় খুঁজে বের করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি ।
তিনি আরও বলেন, জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য একটি বিশেষ কর্মসূচি চালু করার চেষ্টা করবে জাপান ।
এবার গাজার পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর
গাজা খালির বিরোধিতা করে পাঁচ আরব দেশের চিঠি
এ ছাড়া গত মাসে মালয়েশিয়া সফরের সময় ইশিবা বলেছিলেন, তার দেশ ফিলিস্তিনের উন্নয়নে সহায়তা করবে।
পরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম জানান, তার সরকার ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যার যুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজায় হাসপাতাল, স্কুল এবং মসজিদ পুনর্নির্মাণের জন্য জাপানের সাথে মিলে একটি তহবিল গঠন করবে।
১৯ জানুয়ারি গাজায় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। এরপর শরণার্থী ফিলিস্তিনিরা গাজায় ফিরতে শুরু করেন । সে সঙ্গে হতাহতদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা প্রবলভাবে অনুভূত হয়। এমন সময় মিসর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ আহতদের চিকিৎসায় এগিয়ে আসে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে ৪৭,৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১১,৬০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। এ ছাড়া গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণে ১১,০০০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে আছে।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত বছরের নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। কিন্তু বিশ্বের কোনো দেশ এখনো এ আদেশ পালনের সাহস দেখায়নি।