✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

ওসিকে তদন্তের নির্দেশ আদালতের

সিসিক'র অপসারিত মেয়র, ৮ কাউন্সিলর ও ৩ কর্মচারীসহ ১১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সিলেট সিটি করপোরেশনের অপসারিত মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, ৮ জন কাউন্সিলর ও সিসিক'র ৩ কর্মচারীসহ মোট ১১১ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার এলাকার ইসরাইল মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া বাদি হয়ে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও আমলি আদালত-১ এ এই মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি আমলে নিয়ে ১ জানুয়ারি তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক আবদুল মোমেন।

মামলার আসামিরা হলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের অপসারিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সাবেক এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাবেক কাউন্সিলর জগদীস চন্দ্র দাস, আফতাব হোসেন খান, আব্দুর রকিব বাবলু, আব্দুল মনাফ, মোহাম্মদ আলী দুলাল, মকসুদ মিয়া, আব্দুল জলিল হিরণ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, কৃষ্ণমণি দাশ, সাহিদুল ইসলাম, অপি রায়, ফারুক আহমদ, মামুনুর রশীদ রাসেল, শাহাব উদ্দিন চৌধুরী, শেখ তারেক আহমেদ, নোমান আহমদ রোমান, দিপরাজ দাশ, আফজাল আহমেদ শুভ, জুনাত্তর আলী, মো. সিদ্দিকুর রহমান, ইকবাল কবির শামিম, পিংকু দাশ, শাকিব আহমদ (এস আর কে শাকিব), আবু জাফর, মো. একলিম আবেদীন, ইমদাদুল হক জীবন, জয়নুল কৌরেশী, মতিউর রহমান চৌধুরী, দুদু মিয়া, আকবর কবির সায়েম, সয়দুল রহমান, সাদিক আহমদ, শাহিন মিয়া, জব্বার আহমদ (পাপ্পু), পরাছ মিয়া, আশিক মিয়া, জাকির হোসেন, মোহাম্মদ হানিফ, আফজাল আহমদ উরফে কালা আফজাল, রিপন আহমদ, জগলু হোসেন উরফে ভাঙ্গারী জগলু, মতিউর রহমান, ইয়াহিয়া তানজিল, রাশেদ আহমদ, আফজাল আহমদ তপাদার, তাজুল ইসলাম, খাইরুল ইসলাম অপু, সাফওয়ানুর রহমান রাহাত, শাহ মুবিন (লাভলু), জয়নুল আবেদিন জুনেদ, আবু বক্কর মো. শাহাজাহান (উরফে ইয়াবা শাহজাহান), আলহাজ জামিল চৌধুরী, ইমরান আহমদ, হাবিব আহমদ, শরীফ হোসেন, শিমুল মজুমদার, আব্দুল সুমিত বাবুল, অজিত কুমার সাহা, রফিক আহমদ, আব্দুল কুদ্দুস, তানজিম শাহরিয়ার আসিফ, জামাল চৌধুরী, ফজলে রাবিব চৌধুরী, কাজী রুনু মিয়া (মইন), আব্দুল লতিফ রিপন, আব্দুল খালিক, আবুল কালাম আজাদ লায়েক, তপন মিত্র, শরিফ, আব্দুল কুদ্দুস, আবু বক্কর, শওকত আমীন তৌহিদ, এস আর রুমেল, মুস্তাক উদ্দিন আহমদ, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, রাফসান আহমদ, সিরাজ গাজী, আব্বাছ আহমদ, আব্দুর রহমান মেম্বার, রতন সরকার, রফিক, রাজন চৌধুরী, অপু বণিক, লায়েক আহমদ চৌধুরী, জিবলুর রহমান চৌধুরী, বিপ্লব দাস, আব্দুল ওয়াহিদ, আনোয়ারুল হক, সাগর হোসাইন, ছবরুল করিম শুভ, সায়েম আহমদ, তোফায়েল আহমদ, নয়ন আহমদ, আহবাবুর রহমান শিশু, দিলওয়ার হোসেন, আতিক মিয়া, তৌহিদ হোসেন আবু, শামীম আহমদ, আব্দুস সালাম, মোহাম্মদ আব্দুস শাকুর, সৈয়দ আফজাল হোসেন, রামদা আফজল, আশিকুর রহমান, সোহেল আহমদ, সারোয়ার জাহান শিশির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,  মো. মিনহাজ আহমদ, মো. এমাদুল হোসেন, আব্দুল কায়ুম জুয়েল, অনুপম সিংহ, আ ন ম মনছুফ, মুজিবুর রহমান।

আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩/৪ তৎসহ ১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০৯/১১৪ ধারার মাধ্যমে একখানা নালিশী দরখাস্ত দাখিল করেন। 

মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বিকেল অনুমান সাড়ে ৩টার দিকে সোবহানীঘাট টিভিএস শোরুমের সামনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের নির্দেশে বন্দুক, কাটা রাইফেল, ককটেল, রামদা, লাঠি ও লোহার রডসহ অস্ত্র নিয়ে অন্যান্য আসামিরা বাদীসহ অন্যান্যদের উপর হামলা চালায়। বাদি ঐদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিছিলে ছিলেন।

এই সম্পর্কিত আরো