সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি একেএম তারেক কালাম (৬০) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। সোমবার বিকেলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এদিকে বিএনপি নেতা একেএম তারেক কালামের মৃত্যুর খবর পেয়ে সোমবার সন্ধ্যা রাতে তাৎক্ষণিক তাঁর টুকরবাজারস্থ বাসভবনে যান ছুটে যান বাংলাদেশ সিটিজেন সলিডারিটি মুভমেন্ট ও বাংলাদেশ স্টুন্ডেন্ট ইউনিটির পৃষ্ঠপোষক এবং দৈনিক শ্যামল সিলেট'র সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান। এসময় তাঁর সাথে বাংলাদেশ সিটিজেন সলিডারিটি মুভমেন্ট ও বাংলাদেশ স্টুন্ডেন্ট ইউনিটির নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিএনপি নেতা একেএম তারেক কালামের মাগফেরাত চেয়ে দোয়া করা হয়।
দোয়া শেষে অ্যাডভোকট সামসুজ্জামান জামান একেএম তারেক কালামের পরিবারের সদস্যের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, একেএম তারেক কালাম আমাদের পুরোনো সহযোদ্ধা। তিনি স্বৈরাশাসনবিরোধী আন্দোলনে খুব দুর্দান্ত ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাছাড়া সিলেটের ১ কোটি মানুষের প্রাণের স্পন্দন এম. ইলিয়াস আলীর ঘনিষ্টজন ছিলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল প্রশংসনীয়। তিনি ছিলেন সৎ, সজ্জন ও নীতিবান মানুষ। দোয়া করি-মহান রাব্বুল আলামীন যেন তাকে বেহেস্ত নসীব এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দান করেন।
অ্যাডভোকট সামসুজ্জামান জামান একেএম তারেক কালাম'র বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
জানা গেছে, সম্প্রতি তারেক কালাম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিলেটের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছিল। আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।