সিলেটের জৈন্তাপুরের হরিপুর এলাকার প্রয়াত হযরত আল্লামা শেখ আব্দুল্লাহ (রহ.) হরিপুরীকে নিয়ে ফেইসবুকে কটূক্তির প্রতিবাদে বৃহত্তর জৈন্তার তৌহিদী জনতা ও ময়মুরুব্বিয়ানের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে হরিপুর বাজার মাদরাসা মাঠে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
হরিপুর বাজার মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা জয়নাল আবেদীনের পরিচালনায় ও শায়খ ইসমাইল আলী শ্যামপুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, কানাইঘাট মাদরাসার শায়খুল হাদিস শায়েখ আলীম উদ্দিন দুর্লভপুরী, জামিয়া ইসলামিয়া আয়েশা সিদ্দিকা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মোখলেছুর রহমান রাজাগঞ্জী, বন্দর বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুস্তাক আহমেদ খান, হরিপুর বাজার মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা শায়েখ হিলাল আহমেদ, মুফতি নুরুল হক জকিগঞ্জী, চতুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হোসেন চতুলী, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম, লামনী গ্রাম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল জব্বার, হেমু মাদরাসার মুহতামিম মুফতি জিল্লুর রহমান কাসেমী প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও ৫নং ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মহিবুল হক মুহিব, ৫নং ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক আহমেদ, ইউপি সদস্য ইলিয়াস আলী সাজু, রফিক আহমেদ, আব্দুল মতিন, ফারুক আহমেদ, মতিউর রহমান, মুরব্বি আলহাজ্ব আলাউদ্দিন, আব্দুল হক মেম্বার, নুরুল ইসলাম কলাই, আব্দুর রহিম, আনোয়ার হোসেন, জাকারিয়া, হরিপুর বাজার ব্যাবসায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি হেলাল আহমেদ, মো. আব্দুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুতলিব, যুবদল নেতা আলী হায়দার সায়মন, ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান, লোকমান আহমেদ প্রমুখ।
বক্তব্যে বক্তারা বলেন, কানাইঘানের বানীগ্রাম ইউনিয়নের বড়দেশ উত্তর এলাকার বাসিন্দা ও বর্তমান শাহপরান শান্তিবাগ এলাকায় বসবাসরত জামায়াত নেতা জামাল হুসাইনসহ তার অনুগত আশফাক, জসিম উদ্দিন নামের কথিত ব্যক্তিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বৃহত্তর সিলেটের স্বনামধন্য আলেমদেরকে নিয়ে কটুক্তি করেছেন। এর প্রতিবাদে বৃহত্তর জৈন্তার তৌহিদী জনতা, আলেম সমাজ ও মুরুব্বিরা তাদেরকে ক্ষমা চাওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা ক্ষমা চায়নি। তাই জরুরি বৈঠকে বৃহস্পতিবার বৃহত্তর জৈন্তায় সকাল সন্ধ্যা অবরোধের ডাক দেন। পাশাপাশি আরো সিদ্ধান্ত হয় কটূক্তিকারীরা যদি জনসম্মুখে এসে ক্ষমা না চায় তাহলে সিলেটব্যাপী কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ার প্রদান করা হয়।
জরুরি বৈঠক শেষে বেলা ২টায় এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।