সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড এ কর্মরত আওয়ামী লীগ সমর্থিত কর্মচারী লীগ (সিবিএ)র আরও ৩ নেতাকে বদলি করেছে গ্যাস ফিল্ড প্রশাসন।
গত মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) গ্যাস ফিল্ডের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ফরিদুল হুদার সই করা অফিস আদেশে কর্মচারী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিবিএ নেতা মোঃ মোতালেব ( সিনিয়র ড্রাইভার) কে গোলাপগঞ্জ এমএসটিই প্লান্ট এনজিএল এন্ড এলপিজি ডিভিশন শাখা। সাংগঠনিক সম্পাদক সিবিএ নেতা আব্দুল খালিক ( উৎপাদন সুপারভাইজার) কে বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড অপারেশন ডিভিশন শাখা ও সিবিএ নেতা মোঃ জহুর মিয়া সিনিয়র প্লান্ট অপারেটর কে প্রধান কার্যালয় হরিপুর গ্যাস ফিল্ড অপারেশন ডিভিশন শাখায় বদলি করা হয়েছে।
আদেশে আর বলা হয় বর্ণিত কর্মচারীগণ অফিস আদেশ জারির পরবর্তী ০৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে ছাড়পত্রসহ বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় পরবর্তী দিবস হতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন।
উল্লেখ্য: গত ১৬ জানুয়ারি বেলা ১১টায় সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন দপ্তরের ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করে গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দু সোবহান তার বক্তব্য শেষে জয় বাংলা স্লোগান দেন।
পরে( ১৭ জানুয়ারি) গ্যাস ফিল্ডের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ফরিদুল হুদার সই করা অফিস আদেশে আব্দুস সোবহানকে শোকজ ও (১৮ জানুয়ারি) আরেক আদেশে কর্মচারীলীগের( সিবিএ) নেতা নাজমুল ইসলাম ও মঞ্জুর হোসাইন কে বদলি করা হয়।
অপরদিকে (১৯ জানুয়ারি) সিলেট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন ও জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন রোববার দুপুরে গ্যাস ফিল্ডে প্রবেশ করেন। তারা প্রথমে বৈঠক করেন গ্যাস ফিল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল ইসলামের সঙ্গে। বৈঠক শেষে তারা সিবিএ অফিসে অবস্থানরত দুই কর্মচারীকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেন। পরে বিএনপি সমর্থিত নন-সিবিএ শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস উদ্বোধন করেন নেতারা।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের আগে এই অফিসটি গ্যাস ফিল্ডস কর্মচারী লীগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
সিবিএ অফিস তালা লাগানোর বিষয়টি স্বীকার করে জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ জানান, ওই অফিসের লোকজন আওয়ামী লীগের অনুসারী। সে জন্য তালা লাগিয়ে দিয়েছেন।
এর আগে সরকার পতনের পর সিবিএ অফিস থেকে কর্মচারী লীগের সাইনবোর্ড ও ভেতরে রাখা বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন নেতার ছবি সরিয়ে ফেলা হয়।