বাসভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছনা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সুবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
খবর পেয়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুকান্ত সাহা ঘটনাস্থলে এসে সৃষ্ট সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এ সময় সুবিপ্রবির প্রক্টর ড. সেখ আব্দুল লতিফ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হারুন অর রশিদ, রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ, সুনামগঞ্জ জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক, পরিবহন মালিক মিজানুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো পুরো সপ্তাহ ২৪ ঘণ্টা হাফপাস নিশ্চিত করতে হবে। বিকেল ৪টার মধ্যে ওই বাস সহকারীকে (হেলপার) সবার সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মার্জিত ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি বাসে হাফপাস লিফলেট লাগাতে হবে এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ন্যূনতম একজন হলেও বাস দাঁড়াতে ও হাফপাস নিতে হবে।
জানা যায়, সুনামগঞ্জ শহর থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় ছেড়ে যাওয়া বাসে জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার সুবিপ্রবির ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন শিক্ষার্থী আল-নাহিয়ান। বাসে হাফ ভাড়া নিয়ে হেলপারের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় নাহিয়ানের। এ সময় বাসে আরও কয়েকজন ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রক্টর ছিলেন।
শান্তিগঞ্জে বাস থামার পর দুপক্ষের কথা-কাটাকাটি আরও বেড়ে যায়। প্রক্টর ড. শেখ আব্দুল লতিফ বিষয়টি সুরাহার জন্য মধ্যস্থতার চেষ্টা করেন। ঝামেলা মিটিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের সুবিপ্রবির অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ফিরে আসার সময় আল-নাহিয়ানের ওপর হামলা করে ওই বাসের সহকারী।
এ সময় রক্তাক্ত হন আল-নাহিয়ান। তাঁর ডান হাতে সাতটি সেলাই লেগেছে। শিক্ষার্থী আল-নাহিয়ানের এমন অবস্থা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অন্য শিক্ষার্থীরা। তাঁরা ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় অবরোধে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। এতে চরম ভোগান্তিতে পোহাতে হয় যাত্রীসাধারণকে।