প্রাণচঞ্চল, সদা হাস্যোজ্জ্বল মিলাদ মিয়া। বয়স সবেমাত্র ২৬ বছর। পেশায় টমটম চালক মিলাদ মিয়ার ৭ বছর আগে বিয়ে হয়। সেই সংসারে রয়েছে এক ছেলে। মিলাদের পিতা লেবু মিয়া একজন দিনমজুর ও মা গৃহীনি। ৩ ভাইয়ের মধ্যে মিলাদ দ্বিতীয়। বড় ভাই শামীম মিয়া ট্রাক্টরচালক ও সব ছোট ভাই আল মিলাদ মিয়া নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। সহায় সম্বল বলতে তাদের ভিটেমাটি পুরনো চৌচলা ঘর ছাড়া আর কিছু নেই। কোনও রকমে দিনানিপাত করে আসছিল মিলাদ মিয়ার ৯ সদস্যের পরিবার। এরমধ্যে মিলাদের চিকিৎসার জন্য বাড়ি থেকে দুই শতক জমি বিক্রি করেছে তার পরিবার।
হঠাৎ মিলাদ মিয়ার পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার। মরণ অসুখ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে তার দুটি কিডনিই অকেজো। টগবগে এই যুবক ক্রমে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। তার দুই চোখে স্বপ্নের বদলে এখন শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা। কিন্তু বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি।
মিলাদ মিয়া হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার কুশাখাগাউড়া গ্রামের দিনমজুর লেবু মিয়ার ছেলে। সেখান থেকে সপ্তাহে দুইবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে করাতে হয় ডায়ালাইসিস। তবে চিকিৎসক মিলাদের পরিবারকে কিডনি প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবেই বাঁচবেন মিলাদ।
এ জন্য প্রয়োজন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা, যা অসহায় পরিবারটির পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব। সেটিও কিডনি ডোনারপ্রাপ্তি সাপেক্ষে। বর্তমানে মিলাদকে বাঁচাতে সপ্তাহে দুইদিন সিলেট এনে ডায়ালাইসিস করাচ্ছেন তার পরিবার।
মিলাদের পিতা লেবু মিয়া জানান, ৯ সদস্যের পরিবার নিয়ে কোনও রকম দিননিপাত করে আসছিলেন। হঠাৎ ছেলের কিডনি দুইটি নষ্ট হওয়ায় প্রথমে দুশতক জায়গা বিক্রি করে চিকিৎসা করিয়েছেন। সপ্তাহে ২ দিন দুই দিন হবিগঞ্জ থেকে সিলেটে নিয়ে ডায়ালাইসিস করতে হয়। এখন ভিটে ছাড়া আর কিছু নেই। ঋণ করে একদিকে চিকিৎসা খরচ চালাচ্ছি। খেয়ে না খেয়ে থাকছি। ছেলেকেত বাঁচাতে হবে।
তিনি জানান, চোখের সামনে ছেলেটা যন্ত্রণা ভোগ করছে। কিছুই করতে পারছি না। এমতাবস্থায় নিরুপায় হয়ে মিলাদকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানসহ সবার কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন দিনমজুর বাবা লেবু মিয়া।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: মিলাদ মিয়া, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ৩৯১৪-০৩১১০৫১৮৩০, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ইমামবাড়ি শাখা, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ। বিকাশ: 0177-6785535, 01314-904885 (পার্সোনাল)।