সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে বাড়ী থেকে গলায় ফাঁস লাগানো এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মহত্যা দাবি করলেও বাবার বাড়ির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। এ নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হওয়াতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের উত্তর গাজীনগর গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ রাজিয়া বেগম উত্তর গাজীনগর গ্রামের আজিজুল মিয়ার স্ত্রী।তার বাবার বাড়ি একই এলাকার বাবনিয়া গ্রামে। তাদের দুই ছেলে সন্তান রয়েছে।
গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি রাজিয়া আত্মহত্যা করেছেন। তবে, তার বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ রাজিয়াকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর মা ও ভাইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাবাদের জন্য তার স্বামী আজিজুল মিয়া ও শ্বশুর আব্দুর রহিমকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শনিবার মধ্যরাতের কোনো একসময় পরিবারের সদস্যরা রাজিয়া বেগমকে বসতঘরের বাঁশের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। এরপর তার স্বামী আজিজুল মিয়া তার গলা থেকে রশি খুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রোববার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, ‘খবর পেয়ে গাজীনগর গ্রাম থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে নিহত গৃহবধূর মা ও ভাইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী আজিজুল মিয়া ও শ্বশুর আব্দুর রহিমকে আটক করা হয়েছে।’