✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

গোয়াইনঘাটে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর উপর হামলা, দোকানের স্থাপনা ভাঙচুর

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৬নং ফতেপুর ইউনিয়নে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবাসয়ীর উপর হামলা ও নির্মাণার্ধীন দোকানকোঠা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ৬নং ফতেহপুর ইউনিয়নের বাজারে এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় ৫নং ফতেপুর ইউনিয়নের দলইপারার মৃত আবদুল গফুরের ছেলে বশির উদ্দিন ও দক্ষিণ বাগেরখালের আবদুল কাদিরের ছেলে আবদুল আজিজ জুবেরের নামোল্লেখ করে মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন হামলার শিকার ফতেপুর ইউনিয়নের মৃত আজীদ আলীর ছেলে ব্যবসায়ী মাওলানা এবাদ উল্লাহ (৫৩)।

অভিযোগসূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬নং ফতেহপুর ইউনিয়নের ব্যবসায়ী মাওলানা এবাদ উল্লাহ ফতেপুর বাজারে তার জায়গার উপর দোকান কোঠা নির্মাণ করাসহ বর্তমানে টিনসেড স্থাপনা নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পার্শবর্তী ৫নং ফতেপুর ইউনিয়নের বশির উদ্দিন ও আব্দুল আজিজ জুবের দোকান কোঠা নিমার্ণের আগ থেকে মাওলানা এবাদ উল্লার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। বশির ও আজিজ ব্যবসায়ী এবাদকে চাঁদার ৫ লাখ টাকা না দিলে দোকান কোঠা নির্মাণ করতে পারবেন না বলে হত্যার হুমকি প্রদান করেন। এই চাঁদাবাজীর ঘটনা সম্পর্কে ব্যবসায়ী মাওলানা এবদ উল্লা তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও বাজার কমিটিকে অবহিত করেন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে চাঁদাবাজ বশির ও আজিজ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের বাহিনী নিয়ে ফতেপুর বাজারে এসে নির্মাণাধীন দোকানের ওয়ালসহ অন্যান্য স্থানপা ভাঙচুর করে। ৭ লাখ টাকার ক্ষতিসাধান করে। দোকানে হামলা ও ভাঙচুরের খবর পেয়ে ব্যবসায়ী এবাদ উল্লাহ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা প্রদান করলে তাদের চাঁদা না দিয়ে এবাদ উল্লাহ কাজ শুরু করলেন এই জবাব চায় বশির ও আজিজ বাহিনী। একপর্যায়ে ব্যবসায়ী এবাদ উল্লাহরকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে চাঁদাবাজ বশির ও আজিজ বাহিনী। এতে তিনি মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন। এসময় এবাদ উল্লার সাথে থাকা ১ লাখ ১৪ হাজার ৭শ’ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বশির ও আজিজ বাহিনী। যাওয়ার সময় ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দিয়ে দোকান নির্মাণের ফের চেষ্টা করলে ব্যবসায়ী এবাদ উল্লাকে হত্যার হুমকি প্রদান করে তারা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা ব্যবসায়ী এবাদ উল্লাহকে উদ্ধার করে গোয়াইনঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। 

অভিযোগো আরো উল্লেখ করা হয়, ইতোপূর্বে ব্যবসায়ী এবাদ উল্লার ভাতিজা মো. মাতাব উদ্দিন বাদি হয়ে বশির ও আজিজ বাহিনীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন সেই মামলা রেকর্ড করার জন্য আদালত গোয়াইঘাট থানাকে নির্দেশ দেন। যার নং-(৬৫/২০২৩)। বর্তমানে মামলাটি সিলেট জেলা গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত করছেন। 

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমদ সরকার বলেন, এই বিষয়টি এসআই মারুফ জানেন তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন।

ঘটনার খবর পেয়ে এইআই মারুফ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে দুইটি পক্ষ ছিলো। স্থানীয় মুরুব্বিরা বলেছেন এটি দেখে দিবেন তাই চলে আসি।

এই সম্পর্কিত আরো