দলকে সু-সংগঠিত করণের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের উজ্জিবিত করতে সিলেটের ওসমানীনগরে ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে উপজেলার ৮ নং উসমানপুর ইউনিয়নের ১ ও ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্ঠা নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম.ইলিয়াস আলীর সহধর্মীনী সিলেট-২ আসনের ধানের শীষ প্রতিকের কান্ডারী তাহসিনা রুশদীর লুনা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ময়নূল হক চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসটি.এম ফখর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিছবাহ। সভায় সভাপতিত্ব করেন উছমানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুনুর রশিদ। সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক অলিউর রহমান খাঁন মিঠুর যৌথ পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মুতাহির আলী, উপজেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক কয়েছ আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান আহমদ, আব্দুল জমির, ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি পিয়ার আলী খাঁন, লাল মিয়া, বিএনপি নেতা আনছার আলী, দোলাল মিয়া, নিউইয়র্ক স্ট্রেইড যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ এনাম আহমদ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ফজল আহমদ জনি, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক রেদওয়ান আহমদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আকিক চৌধুরী, নুরুল ইসলাম রেজন, স্বেচ্ছা সেবক দলের আহবায়ক রকিব আলী, ছাত্রদলের আহবায়ক জুয়েব আহমদ, যুগ্ম আহবায়ক আল-মাসুম আবির, ছাত্রদল নেতা ছাব্বির আহমদ, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শাহবাজ আহমদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জনপ্রত্যাশার চেয়েও বেশি উন্নয়ন করেছিলেন এম.ইলিয়াস আলী। বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ সিলেট-২ আসন স্বাধীনতার পর থেকেই অবহেলিত ছিল। এম.ইলিয়াস আলী এই অবহেলিত এলাকাকে সমৃদ্ধ এলাকায় গড়ে তুলেছিলেন। রাস্তাঘাট, বৈদ্যুতিক সংযোগসহ নানা ক্ষেত্রেই ইলিয়াস আলীর হাত ধরে উন্নয়ন সাধিত হয়। কিন্তু স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে ইলিয়াস আলীর উন্নয়নের রাস্তাগুলো সংস্কার তো দূরের কথা ইলিয়াস আলীর ফলকও মুছে ফেলেছে। এসব অত্যাচার বিএনপির ভূলে গেলে চলবে না। দীর্ঘদিন আন্দোলনের ধারাবহিকতায় জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সকল দলের সম্মেলিত প্রচেষ্ঠায় ফ্যাসিস্ট হটিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ উপহার পেয়েছি। বর্তমান অন্তবর্তীকালিন সরকার খুব শিগ্রই একটি অবাদ সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে দেশের গনতান্ত্রিক সংকট দূর করণের দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, দলীয় আন্দোলন সংগ্রামের পাশাপাশি গনতন্ত্র রক্ষায় সব সময় মাঠে রয়েছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন। যতক্ষন পর্যন্ত চুড়ান্ত বিজয় অর্জন না হবে, ততক্ষন পর্যন্ত সজাগ থাকতে হবে। চুড়ান্তা বিজয় হচ্ছে একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপির সরকার গঠন করা। জনগনের ভোটের অধিকার ফিরাতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সব সময় মাঠে থাকার প্রত্যশা করেন বক্তারা।