সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ৫নং সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েলকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। ২০২৩ সনের ৪ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান জুয়েল ও তার লোকেরা দিরাই পৌর শহরের আরামবাগ এলাকায় সাংবাদিক জাকারিয়া হোসেন জুসেফের বাসায় হামলা চালায়। হামলাকারীরা জুসেফ ও তার ভাই জুহানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহিত হওয়ায় ১৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী দৈনিক ভোরের কাগজের দিরাই প্রতিনিধি জাকারিয়া হোসেন জুসেফ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েলের বিরুদ্ধে জিআর মামলা নং- ৮৫/২০২৩ (দিরাই) এর অভিযোগপত্র আদালতে গৃহিত হওয়ায় জেলা প্রশাসক, সুনামগঞ্জ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছেন।
একই প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। সেহেতু দিরাই উপজেলাধীন সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী উল্লেখিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে তার স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
মামলার বাদী জাকারিয়া হোসেন জুসেফ বলেন, চেয়ারম্যান জুয়েল আমার চাচাতো ভাই। সরমঙ্গল ইউনিয়নের জারুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমি দাতা আমাদের পরিবার। ১৬ বছর ধরে স্কুলের ভূমি দাতা হিসেবে আমার দাদা মৃত আছকির উল্লার নাম লিপিবদ্ধ ছিল। কিন্তু আমার চাচাত ভাই জুয়েল চেয়ারম্যান হবার পর স্কুলটির ভূমি দাতা হিসেবে তার পিতা মরহুম আব্দুল মতলিব নামে অন্তর্ভূক্ত করে। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এরই জেরে চেয়ারম্যান তার বাহিনী নিয়ে আমার বাসায় হামলা চালিয়ে আমাকে এবং আমার ছোট ভাই জাকির হোসেন জুহানকে কুপিয়ে আহত করে। আমার বাসা ভাঙচুর করে।