জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, আকাশ থেকে গুলি করে আমাদের ছেলে মেয়েকে মারা হয়েছে। তাদের কি অপরাধ ছিলো যে, তাদেরকে গুলি করে মেরে ফেলতে হবে। ক্ষমতার জন্য, কিন্তু সে ক্ষমতায়ও তারা টিকতে পারলো না। প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার ৩শ এমপিও পালালো। এমনকি বায়তুল মোকারমের খতিবও পালিয়েছে। এসব নিয়ে তাদের লজ্জা হওয়া উচিত।
ভিসি অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ আরও বলেন, চলতি বছর থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসুচিতে পরিবর্তণ হবে। তাছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাও চালু করা হয়েছে। বেসরকারি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হতে জোর লবিং করতে হয় কিন্তু এটা কেন? ফলে গভর্নিং বডির সভাপতি পদ তুলে দেয়ার চিন্তা ভাবনা চলছে। শুধু তাই নয় কলেজগুলোতে শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি রয়েছে। রাজনীতি করতে চাইলে ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে করেন।
এছাড়াও তিনি মৌলভীবাজার সাইন্স এন্ড টেকনোলজি ইন্সটিটিউট চালু করেন, প্রতিটি কলেজে কম্পিউটার ল্যাবসহ যা কিছু প্রয়োজন শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া সিলেটের জন্য সবই দেয়া হবে। বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার লংলা আধুনিক কলেজের রজত জয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দানকালে এসব কথা বলেন। কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট নওয়াব আলী আব্বাছ খানের সভাপতিত্বে ও সহকারি অধ্যাপক মাযহারুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. খন্দকার আশারাফুল মুবিন, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন, জীন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ খন্দকার মো. আব্দুল ওয়াহিদ সারওয়ার, শাবির সাবেক রেজিষ্টার জামিল আহমদ, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আতাউর রহমান প্রমুখ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কলেজের প্রাক্তন ছাত্র জাহিদ হাসান ছামাদ ও সাংবাদিক সেলিম আহমদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মেহনাজ ফেরদৌস ও কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিনসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।