সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পুলিশ এ্যাসল্ট মামলার এজাহারনামীয় পলাতক এজাহারনামীয় পলাতক আসামি শাহাবুদ্দিন (৩২)-কে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাড়ুয়া এলাকার মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে র্যাব জানায়, গত ১১ জানুয়ারি রাত ২টা ২০ মিনিটে জালিয়ারপাড় বালুর মাঠে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পাথরবোঝাই দুটি মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় চালক ও সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
পরে ১১ ফেব্রুয়ারি জব্দ মালামাল হস্তান্তর চলাকালে বিবাদীরা সরকারী কাজে বাধা সৃষ্টি করে ট্রাক্টর দুটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা পিছু হটে। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ৩টা ২৫ মিনিটে নোয়াগাঁও পুলিশ চেকপোস্টের সামনে পুলিশ ট্রাক্টরগুলো নিয়ে গেলে আবারও বিবাদীরা সামনে দাঁড়িয়ে বাধা সৃষ্টি করে। ধাওয়া দিলে তারা সরে গেলেও কিছুক্ষণ পর পুলিশ পোস্টে আগুন লাগিয়ে ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে।
মামলার তদন্তে নেমে র্যাব-৯ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে এফআইআর নং–৮, তারিখ ১২/০২/২০২৫ খ্রি., ধারা ১৪৩/১৮৬/৩৫৩/৪৩৬/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০–এর মূলে এজাহারনামীয় পলাতক আসামি শাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, ‘গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থার জন্য কোম্পানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা এবং আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা কার্যক্রম ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও জানান, ‘এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই র্যাব-৯ মাদক উদ্ধার, সন্ত্রাস দমন, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ নানান নৃশংস ও চাঞ্চল্যকর অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং নিরাপদ সমাজ বিনির্মাণে এ বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।