নবীগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে অবাধে পাখি শিকার হলেও, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়রা জানান, বড় হাওর, ঘুঙ্গিয়াজুরি হাওর, মকার হাওর, ও হাইল হাওর এলাকা থেকে শিকারিরা পাখি সংগ্রহ করে। ফাঁদ পেতে রাতের আঁধারে পাখি শিকার করা হয়।
সিলেট বিভাগের মৌলভিবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার জুড়ে বিস্তৃত একটি বৃহদাকার জলাভূমির নাম হাইল হাওর । ১৪ টি বিল ঘেরা হাইল হাওরের সর্বমোট আয়তন প্রায় ১০ হাজার হেক্টর। প্রচুর লতা ও গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ থাকার কারণে স্থানীয়দের কাছে এটি লতাপাতার হাওর নামে পরিচিত এই হাওরে প্রচুর অতিথি পাখি প্রতি বছর আসে। এখানে নির্বিচারে অতিথি পাখি শিকার চলছে।
সিলেটের পর্যটন স্পটের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় দেখা যায় অতিথি পাখি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, নবীগঞ্জের শহরে, ইনাতগঞ্জ বাজারে, আউশকান্দি , বালিদ্বারা ও ইমামবাড়ি বাজারসহ বিভিন্ন গ্রাম, হাওরাঞ্চলের ছোট ছোট বাজার এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে দেশি ও অতিথি পাখি।
নবীগঞ্জ শহরের শিকারি ও বিক্রেতা আব্দুর রউফ জানান, বিক্রির জন্য সাধারণত বালিহাঁস, বক, ঘুঘু, পানকৌড়ি ও শামুকখেকো পাখি শিকার করা হয়। একজন শিকারি প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২৫ জোড়া পাখি বিক্রি করে।
প্রতিজোড়া বাঁলিহাস ৮০০ টাকা, বক ৩০০ টাকা, ঘুঘু ৩০০ টাকা, পানকৌড়ি ৫০০ টাকা, শামুকখেকো ২০০০ টাকা করে বিক্রি হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) হবিগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল এ বিষয়ে বলেন, জেলার অনেক জায়গাতেই অবাধে দেশি এবং অতিথি পাখি শিকার ও বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু, শিকারিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।